পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:શજી? ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ૨૬૧ ভবিতব্য অবস্থারই একটু ভাৰাত্তর মাত্র। এই সময়ে বুখান বা পরিচালনাদিশক্তির অতীত ভাব হয় , কিন্তু সেও অতীতভাবে থাকে বলিয়াই, যে অনাগত ও বর্তমান ভাব হইতে পৃথগভূত কিছু একটা হয়, তাহী নহে; কিন্তু তাহারাই একটা রূপান্তর মাত্র। ইহা বুখিনি শক্তির তৃতীয় লক্ষণ । তৎপর আবার সংযম বা নিরোধে অতীত লক্ষণ হইয়া পরিচালনাদি শক্তি অনাগত ও বর্তমান ভাবাদি হইয় থাকে। তৎপর জাবার নিরোধ, আবার বুখান ইত্যাদি সৰ্ব্বদাই হইয়া থাকে। এই হইল “লক্ষণ পরিণাম।” তৎপর অবস্থা পরিণাম। ংযম শক্তির যখন পরিস্কৃৰ্ত্তি হয়, তখন পরিচালনাদি শক্তির সংস্কার গুলি দুৰ্ব্বল হয়, উহা উদ্রিক্ত হইতে পারে*না, এবং সংযমের সংস্কার গুলিই বলবন্ত হয়। আবার পরিচালনাদির পরিস্ফূৰ্ত্তি কালেও সংযম শক্তির সংস্কার অতিদুৰ্ব্বলাবস্থায় থাকে, এবং পরিচালন সংস্কার সবলাবস্থায় থাকে । ইহাই আত্মার সংযমাদি ধৰ্ম্মের অবস্থা পরিণাম।” এই তিন প্রকার পরিণামের কথা বলা হইল । এখন যুক্তি অনুভব অনুসারে বুঝিতে হইবে যে উক্ত তিন প্রকার পরিণামের মধ্যে যেটা প্রথম পরিণাম অর্থাৎ "ধৰ্ম্ম পরিণাম’ সেইটাই এখানে আত্মার ; (অন্যত্র যে যখন ধৰ্ম্মী হয় তাহার ) আর দ্বিতীয় পরিণাম অর্থাৎ * লক্ষণ পরিণাম - এখানে ঐ পরিচালনাদি শুত্ত্বিরই বলিতে হইবে, ( অন্যত্র যে যখন ধৰ্ম্ম হয় তাহার ) তৎপর তৃতীয় পরিণাম অর্থাৎ * অবস্থা পরিণাম ” এখানে ঐ বৰ্ত্তমনাদি লক্ষণেরই বলিতে হইবে। কারণ দেখিতে পাওয়া যায় যে আয়ারই সংযম ও পরিচালনাদি শক্তি বা ধর্শ্বের বিকাশ হইল, এবং ঐ শক্তিগুলিরই বৰ্ত্তমানাদি দশা প্রাপ্তি হইল ; উহ। আত্মার নহে, কেননা জীবাত্মা সৰ্ব্বদাই আছে ; অতীত, বর্তমান, বা অনাগত হইতেছে না। আর দুৰ্ব্বলতা বা সৰ্বলতাও ঐ বৰ্ত্তমান অবস্থা দিরই হইতেছে, উহাও অার কাহারও নহুে । এই তিন প্রকার পরিণাম সকল বস্তুরই আছে, ইহা হইতে বিমুক্ত হইয়া ক্ষণকালের নিমিত্তও সত্ত্বাদি কোন গুণ অর্থাৎ কোন বস্ত থাকিতে পারে না। কারণ সন্ধু রজঃ প্রভৃতি গুণ অতি চঞ্চলাবস্থাবিশিষ্ট । গুণস্বভাবত নিবন্ধনই উহাদের ঐরূপ প্রবৃত্তি হইয়া থাকে। ভূত ভৌতিক