পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড ] ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । ૨૮? জ্ঞান শক্তির সুখ দুঃখ অবস্থা । আমরা যে, কোন বস্তুর দর্শন ও শ্রবণাদি করি তাছা জ্ঞান শক্তির কার্ধ্য। জ্ঞান শক্তিই বিকসিত হইয়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর দ্বারা চক্ষু কর্ণাদির শেষ সীমা পৰ্য্যন্ত প্রসারণপূর্বক দর্শন শ্রবণtদি কাৰ্য সাধন করে ; ইহাও পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। দর্শন শ্রবণাদিকালে যদি এই শক্তি অনর্গলভাবে প্রবাহিত হইতে পারে, তবেই মুখস্বরূপ হইল, আর যদি চাক্ষুষ বা শ্রাবণিক স্নায়ুর দোষে, উছার প্রসারণের কোন প্রকার বাধা বা ঠে কা ভাব হয়,ভ-রীতিমত কাৰ্য্য করিতে না পারে তবে ঐ শক্তিই আবার দুঃখস্ত্ররূপ হইল। স্পর্শন ভ্রাণাদি জনক অন্যান্য জ্ঞান শক্তি সম্বন্ধেও এইরূপই বুঝিবে। এখন এই ত্রিশক্তির অন্তর্গত ভক্তি প্রভৃতির মুখ দুঃখ অবস্থা বলা যাইতেছে। ভক্তির সুখ দুঃখ অবস্থা । ভক্তি বিবেকাদি শক্তি গুলি স্নায়ুমণ্ডলের দিকে প্রবাহিত হইয়া আইসে না, কারণ উহা উৰ্দ্ধস্রোতস্বিনী শক্তি কিন্ত-উছ ব্যায়ত হওয়ার নিমিত্ত মস্তিষ্কের মধ্যে বিশেষ বিশেষ যন্ত্র আছে। উহা প্রথম পরিস্ফরিত হয় তৎপর মস্তিষ্কের অংশবিশেষের সাহায্যে উহাউদ্দীপ্ত বা বিস্তৃতিভাব গ্রহণ করিয়া থাকে। তুখন যদি সেই যন্ত্রটি অনুপযুক্ত হয়, অর্থাৎ যে ভাবে যে পদার্থের দ্বারাহীষ্টপুষ্ট থাকিলে উহা ভক্তি শক্তির বিস্তৃতির সাহায্য করিতে পারে, সেইরূপ না হয়, তবে ভক্তি শক্তি স্বীয় যন্ত্রে ( সেই মস্তিষ্কের অংশবিশেষে) আসিয়াই যেন চুপসিয়া যায়, অনুপযুক্ততা নিবন্ধন সেই যন্ত্রই যেন তাহাকে বিস্তৃত হইতে দেয় না। তাহাই ভক্তির বাধিত অবস্থা, সেই সময় বড় দুঃখের অনুভব হয়, তখন ভক্তিই দুঃখ স্বরূপে পরিণত হইল। আর যদি সেই যন্ত্র উপযুক্ত থাকিয়া অনায়ালে ঐ কার্য নিম্পন্ন হয়, তবে উহাই ভক্তির অনর্গল অবস্থা হইল, তখন অতীব আনন্দ অনুভূত হয়, তখম ভক্তিই মুখস্বরূপে পরিণত হইল। মনে কর, তুমি প্রচুর পুপ বিল্বপত্রাদির আহরণ পূৰ্ব্বক ভগবান দেব দেবের অর্চনা করিতে বসিলে, এখন যদি তোমার বিশেষ ইচ্ছা থাকে যে, বিশেষ ভক্তি ও-আনন্দ সহকারে তাছার ধ্যান করিবে ; আর তখন