পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૬૭ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ তৃতীয় যদি ভক্তির অঙ্কর মাত্র হইয়াই চুপসিয়া যায়—তুমি শত চেষ্টায়ও ভক্তিভাবের আবিষ্কার করিতে না পার, তবে তোমার আতিশয় দুঃখ বোধ হওয়ার সম্ভব নয় কি ? অতএব মুখময়ী ভক্তি ও বাধিত ভাব প্রাপ্ত হইলে দুঃখস্বরূপে পরিণত হয়। বিবেক, বৈরাগ্যাদি শক্তি বিষয়েও এইরূপই চিত্তা কয়িয়া দেখিবে । এখন ক্রোধাদির কথা বলিতেছি । • ক্রোধের সুখ দুঃখ অবস্থা তোমার নিজের কখনও ক্রোধাদি শক্তি উত্তেজিত হয় নাই কি ? শিষ্য —“কধনও কেন আজও তিনবার প্রচণ্ড ক্রোধ জলিয়া উঠিয়া ছিল। আচাৰ্য্য —ক্ৰোধ হইগে, যদি কোন বাধা ক্রমে উহা চরিতার্থ হয় তবে কিরূপ অনুভূতি হয়, আর চরিতার্থ করিতে না পারিলেই বা কিরূপ অনুভব হয় বলদেথি ? শিষ্য —ক্রোধ চরিতার্থ, ন হইলে অত্যন্ত কষ্ট্রানুভব হয়, আর চরিতীর্থ কল্পিতে পারিলে বড় অfরামেরভাব অনুভূত হয় । আচাৰ্য্য। ক্রোধই সেই মুখ এবং সেই কষ্ট বা দুঃখ স্বরূপে পরিণত হয় । ক্ৰোধ যে অপসারণ শক্তি বিশেষ তাহা পূর্বেই ( ) বলিয়াছি, সেই ক্রোধশক্তি বিস্কৃত্তিত হইয়া যদি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু মণ্ডলের দ্বারা অনর্গলভ যে প্রবাহিত হইয়। রামদীসের গাত্রে ( যাহার উপর ক্রোধ করিয়াছ ) গিয়া সরিয়া পড়ে, তবে ঐ ক্রোধই মুখাবস্থা হইল, আর যদি কোন কারণে ক্রোধ প্রবাহের বাধা উৎপন্ন হয়, তবে ঐ ক্রোধই দুঃখ স্বরূপে পরিগণিত হইল। ঈর্ষ্যা, অস্থয়া, কামাদি সম্বন্ধেও এইরূপ যোজনা করিয়া লইবে । অন্যান্য যত প্রকার শক্তি আছে সকলেরই এই রূপ সুখ দুঃখ অবস্থায় হইয়া থাকে। কেবল এক মাত্র শোক সম্বন্ধে এ নিয়ম সংলগ্ন হয় না ; কারণ—শোক নিজেই সমস্ত শক্তি প্রবাহের বাধtজনক শক্তি বিশেষ ; সুতরাং প্রবল, দুঃখের আবিস্কারক। অতএব উহা যতক্ষণ অনর্গল ভাবে থাকিয়া কাৰ্য্য বরে, ততক্ষণই দুঃখাংস্থা