পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ গুণ বিশেষ মাত্র, এইরূপই আমাদের ধারণা। এ বিষয়ে শাস্ত্রের এবং আপনার কি মত তাহ জানিতে ইচ্ছ। আচাৰ্য্য। বাহিরের কোন বস্তুর দর্শন বা স্পর্শনাদি কালে কিরূপ ঘটনা হয় তাহ অবগত অtছ কি ? শিষ্য। তাহ একপ্রকার জানি । আচার্ধ্য। কিরূপ জান বল দেখি ? শিষ্য কৰ্ত্তক বাহা জ্ঞানের প্রণালী কথন । শিষ্য। প্রথমে দর্শনের প্রণালী বিষয়ে যাহা জীনি ভাঙ্গা নিবেদন করিতেছি । চক্ষুর মধ্যে পরস্পর বিভিন্নরূপ সাতটি দ্বার বা অবস্থা আছে, তাছার পর একটি বড়মত স্নায়ু আছে,—ধাহাকে শরীরতত্ত্ববিদগণ “ চক্ষুষ স্নায়ু’’ বলিয়া থাকেন ; সেই স্নায়ুটি চক্ষুর তলা হইতে মস্তিষ্ক পর্য্যন্ত সংলগ্ন আছে। উক্ত সাতটি দ্বারের একএকটি একএক আকৃতির ; উহাদের সকলের উপরের দ্বারট, একটি শাদাবর্ণ পরদা—যাহা চক্ষুর দিকে দৃষ্টি করিলে শ্বেতপদ্মের দলের মত দৃষ্ট হয়। তাহার নীচে বড় গোলাকার একটি কালবৰ্ণ পরদ, আছে, তাহর নীচে ক্ষুদ্র-নীলবর্ণ একটি পরদ; তাহার নীচে কতটুক তরলীকার, জিয়লের আঁটার মত, পদার্থ আছে; তাহার নীচে তদপেক্ষা কিছু সরু মত আর একটি ঐরুপ পদার্থ আছে, তাহার নীচে দর্শকমায়ু বা চাফুষমায়ুর মুখে আর একটি পরম্বা আছে, তৎপর দর্শকশ্নায়ুর মুখ। এই দ্বারগুলির প্রত্যেকটিই, পৃথকৃ পৃথকুপ্রকারে পৃথকৃপৃথকৃপদার্থ দ্বারা গঠিত এবং নানাবিধ ভঙ্গীতে অবস্থিত। ইহাদের প্রত্যেকের ক্রিয়া-প্রণালীও বিলক্ষণ পৃথৰু এবং অস্তুত, তাহা বলিতে হইলে অনেক সময় যায়। যখন কোন দৃশুবস্তু আমাদের সন্মুখবর্তী হয়, তখন সেই বস্তুর বর্ণটি মাত্র বিকীর্ণ হইয়া আসিয়া,প্রথমে আমাদের চক্ষুর উপরের শাদা পয়দাটিতে পতিত হয়। তৎপর ঐ বর্ণটি ক্রমে একএকটি দ্বার ভেদ করিয়া মস্তিষ্কের দিকে যাইতে থাকে, আর একএব-দ্বারের দ্বারা এক এক প্রকার অবস্থায় পরিণত