পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭'ઝ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ তোমার চক্ষু বা কৰ্ণ মধ্যে গিয়া আঘাত করিয়া, ক্রমে স্নায়ুমণ্ডলের द्वाव মস্তিষ্কে প্রবেশ পূর্বক মনের উদ্বোধন করিবে এবং জ্ঞান জন্মাইবে, তাহাতে তোমার মনোযোগ অমনোযোগে বিশেয় ফল হইবে কেন ? । শিষ্য। আপনি কি উদ্দেশ্যে কোথায় আনীয় ফেলেন, তাহা বুঝা যায় না, আপনিই এ বিষয়ের প্রকৃত সিদ্ধাস্ত করুন। দর্শনাদি বাহ্যজ্ঞানের প্রণালী । আচাৰ্য্য। জ্ঞান হওয়া ਸ਼ਾਂ কএকটি মুখ্য বিষয় আছে, তাগই জান না, সুতরাং উহা বলিতে পার নাই ; তাহা একটু ধীরভাবে শুন ।—নয়নাদি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সে সকল জ্ঞান উৎপন্ন হয় তাহার দুই প্রচার প্রণালী আছে। কোন বস্তু দর্শন বা শ্রবণ করার অব্যবহিত পূৰ্ব্বসময়, যদি মন অন্য কোন বিষয়ে আসক্ত থাকে, তবে জ্ঞানের একপ্রকার প্রণালী হয়। আর যদি সেই সময়ে মন অন্য কোন বিষয়ে সমাসক্ত না থাকিয়, সেই বস্তুটিই ( যহ তুমি দেখিবে বা শুনিবে, সেই বস্তুটিরই ) দর্শন বা শ্রবণের নিমিত্ত প্রস্তুত থাকে তাহা হইলে, আর একপ্রকার প্রণালীতে জ্ঞান হইয়া থাকে। প্রথমে, খুথম প্রণালীটি বলিতেছি।-কোন দৃপ্তবস্তু সম্মুখবর্তী হইলে, তাছার ইতস্ততঃ-বিসর্গন্ত-আলোক শক্তি বা নীল পী তাণি বর্ণ শক্তি, চলিয়া গিয়া প্রথম চক্ষুর বাহিরের পরদায় সংযুক্ত হইবে, তৎপর তোমার কথিতরীতি অনুসারেই মস্তিষ্কস্থ মনকে উদ্বোধন করিবে, তৎপর বুদ্ধির স্থানে (৬৯পূ ২পূ) উপস্থিত হইয়। বুদ্ধির উদ্বোধন করিবে। তৎপর, নিজ-গাত্রে মশকে দংশন করিলে যেরূপ, ঐ দংশনের ঘটনা মস্তিষ্কবাসী-আত্মাতে উপস্থিত হইলে, তৎক্ষণাৎ ঐ দংশন ক্রিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী অার একটি শক্তি প্রাচূর্ণত হয় এবং মশকের দংশনজনিত বাধা পরিমোচনের নিমিত্ত হন্তের স্নায়ুর দ্বারা প্রবাহিত হয়, তৎপর করের অভিমুখে অগ্রসর হয় এবং হস্তও সেই শক্তির দ্বার পরিচালিত হইয়। মশকটা বিতাড়িত করে ; সেইরূপ, বাহিরের জালোক বা বর্ণ শক্তি গিয়া আত্মার উদ্বোধন করা মাত্রেই তৎক্ষণাৎ আলোক শক্তির প্রতিদ্বন্ একটি শক্তিপস্থিতি হইয়া আলোক শক্তিকে উপশান্ত