পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શજી ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ૨૭ જ করার নিমিত্ত বাছিরের দিকে বিসৰ্পিত ছয়, ক্রমে মস্তিষ্ক পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক দর্শক স্বায়ু ছাড়াইয়া চক্ষুর শেষপর্দা পৰ্য্যন্ত উপস্থিত হয়, এমনকি ঐ শক্তির প্রভাব বাহিরেও অনেক দুর পর্য্যন্ত প্রসারিত হইয়া থাকে। এই শক্তির নামই “ইক্রিয় শক্তি” ইস্ক্রিয় শক্তি, এইরূপ বিসৰ্পিত হইয়া আসিলে, এদিকে বাহিরের আলোক বা বর্ণ শক্তির স্রোত ও ঐ চক্ষুতে পড়িয়া ঐ প্রসারিত ইন্দ্রিয় শক্তির সহিত মিলিত হয়। তখন উভয়েরই পরস্পর ভবাভিভরের চেষ্টা হইয়া থাকে, এবং উভয়ের এক প্রকার সঙঘর্ষণ উপস্থিত ছয় ; সঙঘর্ষণে আলোক শক্তি সুর ইন্দ্রিয় শক্তি উভয়ই যেন এক হইয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ, নয়নেন্দ্রিয় প্রভৃতি জ্ঞানেন্দ্রিয়-মাত্রেই স্বচ্ছতাগুণ-সম্পন্ন, কারণ ইন্দ্রিয়মাত্রেই, আত্মার রজোগুণ বিকার বিশেষ হইলেও, জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মধ্যে সত্বাংশও বিশেষরূপে আছে। সত্ব গুণ যে প্রকাশক এবং অতীব স্বচ্ছতা গুণুসম্পন্ন, তাহ পূর্বেই (১৭১ পৃঃ ) বলিয়াছি ; সুতরাং তাহা হইতে সমুৎপন্ন জ্ঞানেন্দ্রিয় ও স্বচ্ছতাগুণ-বিশিষ্ট । এজন্যকাচ ও স্ফটিকাদির দ্যায়, উহা যে বস্তুর সহিত অভিসম্বদ্ধহয়, তাহার আকৃতিই গ্রহণ করে। অতএব তোমার নয়নেক্রিয়, পূৰ্ব্বোক্ত মতে, ঐ নীল পীতাদি বর্ণ শক্তিটির সহিত সম্মিলিত হওয় মাত্রে, ইতদাকার গ্রহণ করিবে, এবং তৎক্ষণাং ঐ-চক্ষুর মধ্যেই বিদ্যুচ্চমকের .ষ্ঠায় অত্যন্ত্রক্ষণ-স্থায়ী এক প্রকার জ্ঞান হইবে। এই জ্ঞান এত অপরিস্ফুট যে ইহাতে, ঐ দৃশ্যমান বস্তুটি নীল কি পীত তাহা কিছুই নির্দেশ করা যায় না। ইহাকে “অনিৰ্ব্বচনীয় জ্ঞান” বা “আলোচন জ্ঞান” বলে। "শব্দাদযু পঞ্চানামালোচন মাত্র মিষ্যতে বৃত্তিঃ ” “ সাঙ্খ্যকারিকা ”) অন্তক্ৰচ "অস্তি হালোচনং জ্ঞানং প্রথমং নিৰ্ব্বিকল্পকমৃ। বালমূকাদি বিজ্ঞান সদৃশং মুগ্ধ বস্তজমৃ ” “জ্ঞানেক্রিয় পঞ্চকের সহিত শব্দাদি বাহ ধিষয়ের যথানিয়মিত সম্বন্ধ হইলেই তৎক্ষণাৎ এক প্রকার জ্ঞান জমিয়া থাকে তাহার নাম “আলোচন জ্ঞান” এই জ্ঞান নিতান্ত অপরিস্ফুট, ইহাতে “এটি এই বস্তু” এরূপ ভাব প্রকাশ পায়ন, ইহা সদ্যোজাত বালকের জ্ঞানের স্তায় নিৰ্ব্বিকল্পক ।” তৎপর ঐরুপ জ্ঞান সংঘর্ষণ ব্যাপার মনের স্থান পৰ্য্যস্ত উপস্থিত হয় এব• মনও নিজ স্বচ্ছতা গুণে ঐ আলোক ৰাবর্ণের তন্ময় হইয়া যায়, তখন ঐ নির্ক্সি