পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮২ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [চতুর্থ অন্তর্গত, উহা কেবলমাত্র রজোগুণের বিকৃতি, উহাতে অন্যান্ত গুণ এত সামান্য যে তাহ অনুভবেও আইসে না। অতএব উহার স্বচ্ছতাদি গুণও নাট, এবং ঐ গৃহীত-বস্তুর গুণগ্রহণ করিয়া তদাকারে অtঙ্কারিত হইতেও পারে না ; সুতরাং উহার প্রকাশ হইল না । কিন্তু স্পর্শেন্দ্রিয় শক্তিটি সত্বগুণ-সমুংপন্ন, তাহার স্বচ্ছতাদিশুণ আছে, তাই সে ঐ গৃহীতবস্তুটির শীতলেtষ্ণাদি শক্তিটি গ্রহণ করিয়া, তদাকারে আকারিত হইয়া প্রকাশ পাইতে লাগিল । g আবার একটা তমোগুণের ক্রিয়ীও লক্ষ্য করিয়া দেখ। তুমি অবশুই অবগত আছ যে, আমাদের কেশের সহিত যদি কোন বস্তুর স্পর্শ হয়, তাহ আমরা অনুভব করিতে পারি না, কেশ দগ্ধ হইয়া গেলেও তাহা জানিতে পাই না । কিন্তু কেশের পুষ্টি ক্রিয়া হয়, তাহ অস্বীকারের উপায় নাই। তবেই, বলিতে হইল যে, কেশের মধ্যে পোষণশক্তি আঙ্কে, কিন্তু স্পর্শন বা অন্য কোন জ্ঞানেন্দ্রিয় শক্তি সেখানে নাই। ঐ পোষণশক্তি থাকিয়াও বস্তুর অনুভবের কিছুমাত্র সাহায্য করিতে পারিল না । কারণ পোষণ শক্তি তমোগুণেব রূপান্তর মাত্ৰ ; তমোগুণের স্বচ্ছতাদি গুণ নাই,—অদ্য বস্তুর কোন শক্তি গ্রহণ করিয়া তদাকারে অfকারিত স্বয় না। যদি রজঃ আর তমঃ-শক্তির স্বচ্ছতাদি গুণ থাকিত এবং অন্তা বারে আকারিত হইতে পারিত, তাহা হুইলে গ্রহণ শক্তি প্রভৃতি কৰ্ম্মেন্দ্রিয়েব দ্বারা এবং পোষণ শক্তি প্রভৃতি তমঃ শক্তির দ্বারা ও বাহ বস্তুর স্পর্শাদির অনুভব করা হইত। অতএব জানা গেল, কেবল মাত্র সত্বশক্তিরই বিষয়ের আকারে আকারিত হওয়ার ক্ষমতা আছে ! এবং স্ফটিকের পুষ্পাকার বর্ণটি গ্রহণ করা, বা জলের স্বৰ্য্যবিম্বাদি গ্রহণ করার ক্ষমতাকে যেমন “প্রকাশক ক্ষমতা’ বলিয়া লোকে ব্যবহার করে, সেইরূপ সত্বশক্তিরও ঐ প্রকারে অন্ত বস্তুর আকার গ্রহণ করাকে *প্রকাশক ক্ষমতা’ বলা গিয়া থাকে। এইরূপ প্রকাশক ক্ষমতার নামই “জ্ঞান শক্তি।’ এই ক্রিয়াটি কেবল সত্ত্বগুণ হইতেই হয়, এজন্য “জ্ঞান শক্তিকে” সত্ত্বগুণ-সমুংপন্ন বলা হইয়াছে। ।