পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հե8 ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । [চতুর্থ এক প্রকার প্রকাশ অবস্থ৷ জাগ্রত রহিয়াছে ( যাহাকে আপন অস্তিত্বের ব। “আমির” অনুভূতি, অনুভব, উপলব্ধি, ও জ্ঞান ইত্যাদি বলিয়া ব্যবহার করা হয় ) তখন উহা আছে কি, না, তদ্বিধয়ে কাহারও সন্দেহ হইতে পারে না। কেন না ? ঐ রূপ একটা প্রকাণ ভাব যে অস্তরে অন্তলে আছে, তাহা সকলেই সৰ্ব্বদা উপলব্ধি করিতেছেন। অতএব উৎtল্প অস্তিত্ব আছে কি না, তদ্বিষয় আলোচনার কোনই প্রয়োজন নাই। আর আমাদের অস্তিত্বের অনুভূতি বা উপলব্ধিই যে আন্তরিক aণ গুণ ও ভক্তি ক্রোধাদির অনুভূতি এবং উহাই সে আমাদের বহিঃ1স্থত খটপটাদি বিষয়ের অনুভূতি তাহাও প্রতিপন্ন করা হইয়াছে । কারণ সুপ দুঃখাদি কিছুই জামাদের “আমি” হইতে অতিরিক্ত কোন পদাৰ্থ নহে, এবং ( জ্ঞানকালে ) ঘটপটাদি বিষয়ও আমাদের “আমি” হইতে বিভিন্ন ভাবে থাকে না, কেন না, আমাদের “আমি,” তখন তদাকারে আকারিত হইয় যায় । অতএব তখন “আমির’ একটু পরিবর্তন অবস্থা হওয়া নিবন্ধন সেই পূৰ্ব্বতন "অমির” অনুভবটাই কেবল এক একবার গ্রাহ্যে আসিয়া থাকে, ইহাও অতি বিস্তার মতেই প্রদর্শিত হইয়াছে । সুতরাং ইহাও উত্তম রূপেই বুঝিয়াছ যে আভ্যন্তরিক মুখ দুঃখাদি বা বাহ ঘটপটাদির উপলব্ধি বু জ্ঞান ক’লে আর আমাদের নূতন করিয়া কোন উপলব্ধি জন্মে না, এবং পূর্বকার যে সেই চিরন্তন উপলন্ধিটি ছিল তাহার পরিবর্তনও হয় না; কিন্তু তখম আমাদের “আমির”ই অবস্থা পরিবর্তন হয়, তাই ভ্ৰান্তিবশতঃ আমরা "জ্ঞানের পরিবর্তন হইল।” এই কথা বলিয়া থাকি। অতএব প্রতি ক্ষণে ক্ষণে সুখ, দুঃখাদির জ্ঞান কালে যে আমাদের ঐ উপলব্ধির উৎপত্তি বা পরিবর্তন হয় না তাঁহাও আলোচনার প্রয়োজন নাই। এখন, ঐ প্রকাশ ভাব বা উপলব্ধি বা জ্ঞান পদার্থটি কোন পদার্থের মধ্যে গণ্য হইবে,—উহা কি আমাদের “আমির-ই কোন গুণ বা ক্রিয়া বা শক্তি বিশেষ, না অন্ত রকম কিছু, আর উহা কি এক বারেই কখনও জন্মে নাই বিম্বা পরিবৰ্ত্তিতও হয় না, এই দুইটি বিষয় মাত্র বিশেষ কন্ধিয়া পৰ্য্যালোচনা করিতে অবশিষ্ট আছে । সুতরাং তাছাই এখানে চিন্তা করিয়া দেখিব । - g