পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪૭ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ t ধৰ্ম্ম আছে, তাহারসছিল মনের সম্বন্ধ হইয়া তদাকারে অকারিত হয়, তৎপর তাছার জ্ঞান হয়। তাছার নামও মানসিক প্রত্যক্ষ । এই মানসিক প্রত্যক্ষও আমাদের সর্বদাই হইতেছে, কারণ দেহীয় ভূত ভৌতিক পদার্থ বা তাহদের গুণাদির সহিত সৰ্ব্বদাই আমাদের সম্বন্ধ আছে, সম্বন্ধ থাকিলেই মনের তদা কাৰ্বত হইবে, তদাকারতা হইলেই তাছার জ্ঞান ং ইল। কিন্তু কোন বাহ বিষয়ের যখন জ্ঞান না হয়, তখনই এইরূপ মানসিক প্রত্যক্ষ হুইয়া থাকে। আবীর ঐ জ্ঞানও বিশেষ লক্ষ্য না করিলে গ্রাহে আইসে না। এবং বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়া শারীরিক ভূত ভৌতিক পদার্থও তাহার গুণের মানসিক প্রত্যক্ষ করাকেই চিত্ত বলে। ইহা কিন্তু সমাধি অবস্থায়ই হইয় থাকে। চৈতন্যের অনুভূতি কি পদার্থ ? iশষ্য। আমাদের আন্তরিক বুদ্ধি, মন ও সুখ দুঃখ ভক্ত্যাদির অতুভূব কি তাহা পুৰ্ব্বে বুঝিয়াছি, এখন ঘট পটাদি বাহ্য বিষয়ের অনুভব কি তাহাও বুঝিলাম, কিন্তু আমাদের যে চৈতন্যের অনুভূতিটি সৰ্ব্বদাই হইতেছে, আমরা যে চেতন.তাহাতে সৰ্ব্বদাই অনুভব, করিয়া থাকি, সেই অনুভবটি কি পদার্থ, অনুগ্রহ করিয়া বলুন। - আচাৰ্য্য। এত বলিয়াও যে চৈতন্যে অনুভূতিটি কি তাহ বলিতে হুইবে, তাহ। আমি বুঝিতে পারি নাই, তাই উহা বলিনাই । যাহা হউক, তুমিযখন বুঝতে পার নাই তখন বলাই আবশুক । চৈতন্য নিজেই স্বপ্রকাশ পদার্থ সুতরাং তাছার সহিত মাখামাখা হয় বলিয়া বুদ্ধি, অভিমান মন, ও ইন্দ্রিয়াদি অন্ধ, জড় পদার্থগুলি প্রকাশ পাইতেছে ; সেই প্রকাশ পাওয়া অবস্থাকেই উচ্চাদের উপলব্ধি বা জ্ঞান বলা যায়, ইহা অতি বিস্তা মতেই বলা হইয়ছে, এখন সেই চৈতন্যের উপলদ্ধি আর অতিরিক্ত কি পদার্থ হইবে ? তাছার সেই প্রকাশ অবস্থার নামই চৈতন্যের উপলব্ধি বা চৈতন্যের জ্ঞান। অর্থাৎ ঐ চৈতন্যর এবং তঁহার প্রকাশ বা উপলব্ধি ইছা একই পদার্থ এবং टेल्डनाब्र উপলব্ধি আর