পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৮ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [চতুর্থ বুদ্ধ্যাদি জড় “আমির” ও প্রকাশ হইতেছে, সুতরাং এই দৃষ্টিতে উভয়েই প্রকাশু সত্য। কিন্তু তথাপি তন্মধ্যে বিশেষ এই যে, চৈতন্য নাকি নিজেই স্বপ্রকাশ স্বরূপ, তাই নিজ হইতেই নিজে প্রকাশ পাইতেছেন, সুতরাং নিজেই নিজের প্রকাগু ও প্রকাশক বলিয়া গণ্য হইতে পারেন। আর বুদ্ধি প্রভৃতি অন্ধ জড় পদার্থগুলি চৈতন্তের অধীনে প্রকাশ পাইতেছে, সুতরাং বুদ্ধ্যাদি অন্ধ পদার্থগুলি কেবলই প্রকাশু, উহারা চৈতন্তের প্রকাশু; এবং চৈতন্য উহাদের প্রকাশক। এজন্য জ্ঞানের ভাবে, "প্রকাশ” কথা বলিলে বুদ্ধ্যাদি অন্ধ পদার্থকেই সৰ্ব্বদা প্রকাশ্য 1 জ্ঞেয় বলিয়া ব্যবহার করা হয়, অীর চৈতন্যকে প্রকাশক • বা জ্ঞাত বলিয়া ব্যবহার হইয়া থাকে। চৈতন্যের অধীনতাযুই বুদ্ধ্যাদির প্রকাশ হয় বলিয়া, এবং চৈতন্য ও বুদ্ধ্যাদির সম্বন্ধাধীন, স্বপ্রকাশ চৈতন্যের প্রকাশই বুদ্ধ্যাদির প্রকাশরুপে পরিগণিত হয় বলিয়া, চৈতন্যকেই এই প্রকাশের আশ্রয় বলিতে হইবে ‘বুদ্ধ্যাদি জড়পদার্থগুলি চৈতন্যে প্রকাশ পাইতেছেন এইরূপ বলিতে হয় কেবল বগা নয়, আমাদের অভ্যস্তরে যে সৰ্ব্বদা একরূপ প্রকাশ হইতেছে, তাহা সত্যসত্যই এইরূপ আধারাধেয় ভাবে অনুভূত হয়, আমাদের বুদ্ধ্যাদি সকল প্রকার জড় বস্তুর উপলব্ধিটা যেন চৈতন্যের আশ্রয়ে রহয়াছে, চৈতন্যে গিয়াই উহার পর্ঘ্যবসান হইতেছে এইরূপ অনুভূতি হয়। এই জন্যই শ্রুতি বলিয়াছেন “নান্যোহণ্ডোইস্তি দ্রষ্টা” দর্শন বলিতেছেন “দ্রষ্ট দৃশি মাত্র” * * । এই কারণেই ‘বুদ্ধ্যাদি সমস্তকে সঙ্গে করিয়৷ आभामब চৈতন্য প্রকাশ পাইতেছেন এইরূপ ব্যবহার হয়, অর্থাৎ বুদ্ধ্যাদিকে, তাহার আশ্রিত বা আধেয় ভাবে উপলদ্ধি ও ব্যবহার হুইয়া থাকে । এভাবেতে চৈতন্যই আমাদের মুখ্যতম “আমি” আর বুদ্ধ্যiদ অন্য জড় পদার্থগুলি গেী৭ “আমি” হইতে পারে। অর্থাৎ আমাদের “আমির" মধ্যে চৈতন্যই বিশেষ্য (পৃ২৮৫ প৮) এবং বুদ্ধ্যাদি জড় পদার্থগুলি বিশেষণাংশে (২৮৫ পৃ) প্রস্তত হইয় থাকে। তাই চৈতন্যই (আত্মাই) জ্ঞানবান, চৈতন্যই বুদ্ধিমান, চৈতন্যই অভিমানী, চৈতন্যই মন মী, চৈতন্যই প্রাণী ইত্যাদি ব্যবহার হয়। আবীর বুদ্ধ্যাদিই যখন বিশেষণ ভাবে প্রতীত হইল তখন, উহার মুখ দুঃখ বা বাহ ঘট পটাদির ষে যে আকারে যখন পরিণত