পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ છ] ধৰ্ম্মখ্যাখ্যা । లిరిన সম্প্রজ্ঞাত সমাধির বিবরণ। যে সমাধিতে কোনরূপ পদার্থের চিহ1, বা অনুভূতি থাকে, তাহাকে ‘সম্প্রজ্ঞাত সমাধি’ বলে । সম্প্রজ্ঞাত সমাধি, প্রধমে চারি ভাগে বিভক্ত, (১) সবিতর্ক (২) সবিচার (৩) সানন্দ (৪) অস্মিতামাত্র । “বিতর্ক বিচারানন্দাম্বিতামৃগমাৎ সম্প্রজ্ঞাতঃ” (প, দ, ১ - ১৭ স্থ )। সবিতর্কাদি সমাধির লক্ষণও এই স্বত্রের ভাষ্যেই আছে—“বি ক:, চিত্তস্তাম্বন স্থলে আভোগঃ, স্থক্ষে বিচারঃ, আনন্দেী হলাদ:, ; একাত্ত্বিক সম্বিদক্ষিত ”। তত্র প্রথম চতুষ্ট্যামুগতঃ সমাধিঃসবিতর্ক: ; দ্বিতীয়ে বিতর্ক বিকলঃ সবিচারঃ ; তুইয়ে বিচার বিকলঃ সামনা: ; চতুর্থস্তম্বিকল অস্মিতামাত্র ইতি । সৰ্ব্ব এতে সালম্বনাঃ সমাধয়ঃ ” “দেহ লক্ষ্য করিয়া সমাধি করিলে চিত্ত যখন দেহটি মাত্রই অনুভব করিতে থাকে, তাহার নাম "বিতর্ক অবস্থা। যে সমাধিতে এই বিতর্ক অবস্থা হয়, তাহার নাম "সতির্ক সমাধি ।” তৎপর দেহের স্থলাবস্থাটি বাদ দিয়া এই স্কুল ভূতেরই অতি স্বত্বাবস্থা (পঞ্চতন্মাত্র) লক্ষ্য বরিয়া সমাধি করিলে, যখন তাহার অনুভূতি হইতে থাকে, তখন বিচারাবস্থ, লে, সেই অবস্থায় সমাধির নাম “সবিচার সমাধি ।” তৎপর নানাবিধ ংি য়শক্তি এবং মনে সমাধি করিলে, তাছুদের অন্তৰ্ভুতি অবস্থাকে আনন্দ । অবস্থা বলে, সেই অব দায় সমাধির নাম "সানন্দ সমাধি পরে অভিমান ও বুদ্ধিতে সমাধি করিয়া, যখন অভিমান ও বুদ্ধির সহিত একতারূপে আত্মার অনুভূতি হয়, তাহার নাম “ অস্মিতাবস্থ৷ ’ সেই জৰম্বায় সমাধিকে “অম্মিত্তামাত্র সমাধি "কিম্বা “সাম্মিত সমাধি” বলে । আবার আর এক কথা,-সমাধি কালে যখন এই স্থল দেহটির অনুভব হইতে থাকে, তখন বহিঃস্থিত ঘট পটাদি কোন বস্তরই কোন প্রকার জ্ঞান হয় না সত্য , কিন্তু দেহের অভ্যন্তরে বুদ্ধি অভিমান প্রভৃতি, জীবাত্মার যত প্রকার অবস্থা আছে, তৎসমস্তেরই অনুভূতি হয়, আবার দেহের স্বাক্ষাবয়ব-পঞ্চতন্মাত্রাদিরও অনুভব হয়। কারণ, আমাদের “আমির” আকৃতিটি যখন যতটুকু বিস্তৃত হইবে, তখন ততটুকুই অনুভূত হইতে থাকিবে। কেননা, চৈতন্তের সহযোগে আমাদের " আমির ”