পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । [পঞ্চম ہ لا(s প্রকাশাবস্থা বিশেষকেই জ্ঞান বা উপলদ্ধি বা অনুভূতি বলা হইয়াছে। চৈতন্যের সহিতও ঐৰূপ মাধামাধী ভাবটি সৰ্ব্বদাই আছে ও থাকিবে। স্বতরাং আমির আকৃতি যখনু যতটুকু বিস্তৃত হইবে, তখন ততটুকুই প্রকাশ পাইবে -আয়ু ভব গোচর হইবে। দেহে সমাধি কালে যখন দেহের উপলব্ধি হইতে থাকে, তখন দেহ পর্যন্তই আমাদের “আমিত্বে ’ বিস্তৃতি হয়—দেহটাও “আমির” মধ্যে গণ্য হইয়া যা, নচেৎ দেহের অঙ্গু হুবু হওয়া অসম্ভব। কিন্তু এই সময়ে “আমির” মধ্যে ‘বুদ্ধি অভিমান, মন ও ইন্দ্রিয়াদি সমস্তই থাকে, কেউই বিনষ্ট হইয়া যায় না। বুদ্ধ্যাদি শক্তিই বিস্তৃত হইয়া, দেহের সহিক্স মিশিয়! দেহকে “ আমির” মধ্যে গণ্য করিয়া ফেলে। অতএব দেহের অনুভবের সময়ে, বুদ্ধ্যাদি সকলেরই একত্র সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতি হয় । তাহা হইলে সবিতর্ক সমাধির মধ্যে বিচার, আনন্দ, ও অস্মি তা এই তিন অবস্থাই নিহিত থাকিল। দেহানুভূতির সঙ্গে, পঞ্চতন্মাত্রেরও অনুভব হয়, এজন্য বিচারাবস্থা নিহিত থাকিল ; ইন্দ্রিয় ও মনের অনুভূতি হয় বণিয়। আনন্দবস্থাও থাকিল, আবার অভিমান ও বুদ্ধির অনুভব হয় বলিয়া, অস্মিতাবস্থাও থাকিল ; উক্ত চারি প্রকার অবস্থাই মিশাইয়া একটি সবিতর্ক সমাধি অবস্থা হইল। কিন্তু তন্মধ্যে দেহান্থভূতিই অধিকতর জলন্ত-ভাবে বিকশিত থাকে, অন্ত গুলির প্রতি লক্ষ্য অনেক কম থাকে ; এ নিমিত্ত ইহাকে ‘সবিতর্ক’ নামই দত্ত হইয়াছে। । সবচার সমাধিতেও, স্থল দেহ হইতে আত্মার সম্বন্ধ বিশ্লথ হইয়া, তখন দেহাভ্যস্তৱবৰ্ত্তি-তন্মাত্র অবধি ইন্দ্রিয়, মন প্রভৃতি সকলেরই অনু ভব থাকে। সুতরাং সবিচার সমাধির মধ্যে কেবল বিতর্কাবস্থাই থাকেন, उष्ट्रा डोउ विक्रtद्र, श्रtनन्ल, সুম্মিতl; এই তিনটিই থাকে। তন্মাত্রের অনুভব হয় বলিয়। বিচারবস্থা, ইন্দ্রিয় মনের অনুভব হয় বলিয়া আনন্দাবস্থা, আর অভিমান বুদ্ধ্যাদির অনুভব হয় বলিয়া অস্মিতাবস্থা নিহিত থাকিবে : অবগুই এখানেও বিচারাবস্থারই প্রবলতা ; এজন্য ইহাকে ‘লবিচার’ সংজ্ঞাই দেওয়া হয় । সনদ সমাধিতে তন্মুtত্রাদির সহিত ও আত্মার সম্বন্ধ বিশ্নথ হয়,