পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭. ર ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [পঞ্চম অবধি, বুদ্ধি ও প্রকৃতি পর্যস্তের সকল প্রকার ইতর বৃত্তি (৬৬ পৃ ২৪ প) এবং স্ববৃত্তি ও স্বরূপের ( ৬৭ পৃ ৩ প) অভাব হইয়া গেলে, যখন কেবলমাত্র প্রবল নিরোধের সংস্কারই অবশিষ্ট থাকে, অর্থাৎ যখন কোন বাহাবস্তু বা আন্তরিক বস্তুর কিছুমাত্র জ্ঞান না থাকে, যখন ইন্দ্রিয়, প্রাণ, মন, অভিমান, ও বুদ্ধির উপলব্ধি ও ( আমাদের “আমির” উপলব্ধিও) না থাকে, সেই অবস্থাকে “অসং প্রজ্ঞাত সমাধি” বলে। তাহার উপায় পরম বৈরাগ্য ( ১৩৩% ১৩প )। তদ্ব্যতীত কেবল সালম্বন সমাধি বা সম্প্রজ্ঞাত সমাধির অভ্যাস করিতে পারিলেও, সেই অবস্থায়ু উপস্থিত হইতে পারে না। তখন কেবল সমস্ত বৃত্তির অভাবাবস্থাটিরই ধারাবাহীক্রমে লক্ষ্য কৱিতে হয়, তাহাতে কোনরূপ ধোয় বিষয়ের বা জ্ঞেয় বিযয়ের পরিস্ফুরণ হইবে না। এইরূপ অভ্যাস করতে করিতে, ক্রমে অন্তঃকরণ নিরালম্ব-বিষয় হইয়া গিয়া, যেন আপনিও বিনষ্ট প্রায় হয়, তখন বুদ্ধির নিজের অস্তিত্বও অনুভূত হইবে না, উহা বিলীন হইয়া যাইবে, কেবল সৰ্ব্বেপাধি পরিশূন্ত আত্মা বা চৈতন্যমাত্রই অবশিষ্ট থাকিবেন। এইরূপ নিৰ্ব্বাজ সমাধিকে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি বলে। সমাধির পূর্বাঙ্গ । উক্ত উভয়বিধ সমাধিতে অধিকারী হওয়ার নিমিত্ত, পূৰ্ব্বে কতকগুলি নিয়ুমের অনুষ্ঠান করিতে হয়। তাহাতে কৃতকার্য্য হইতে পারিলে, পরে সমাধির অনুষ্ঠান করা যায়। “যোগাঙ্গানুষ্ঠানদিশুদ্ধিক্ষয়ে জ্ঞান দীপ্তির বিবেক খ্যাতেঃ” ( পা, দ, ২ প। ২৮ ) “যোগাঙ্গের অনুষ্ঠান করিতে করিতে চিত্তের রজ-স্তমোভাগ বিদূরিত হয়। তথন অবিদ্যা, অস্মিত, অনুরাগ, বিদ্বেষ, মৃত্যুভয় এই পাচ প্রকার অবিদ্যারই ক্ষয় হইয়া যায়। মানবগণ, যেমন-যেমন এক একটি অঙ্গের অনুষ্ঠানে সমর্থ হুইবে ততই অবিদ্যাদি মল কাটিয়া যাইতে থাকিবে । অবশেষে সমাধির অনুষ্ঠানের দ্বারা যখন আত্মা, অরি বুদ্ধ্যাদি জড় পদার্থ, এতদুভয়ের পার্থক্য অনুভূত হয়, তখনই চিত্তবিশুদ্ধির পরিসমাপ্তি হয়।”