পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తి ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । రిషిని হয়, অথবা নিজের দেহের দৃষ্টি করিলে যেরূপ অসম্পূর্ন আকৃতি দর্শন হয় সেইরূপট চিন্তা করিতে হয়, অথবা " দেহের জন্য কোন প্রকার ধ্যান আছে তাছা বুবিতে পারি নাই । আচাৰ্য্য। ও হরি! ঐরূপ ধ্যন তোমার দেহুেপ ধ্যানই নহে, দেহের সহিত স্থৰ্য্যাদির আলোক সংস্থই হইয় একপ্রকার বর্ণ শক্তি বিকীর্ণ হয়, উহ। সেই বর্ণটিরই ধ্যান। দেহ কিন্তু ঐ বর্ণটি হইচে বিভিন্ন ভাবেই পড়িয়া আছে, অতএব বর্ণটির চিন্তা কইলে দেহের ধ্যান করা হইবে কেন ? কিন্তু একাগ্রচিন্ত হইয়। যখন তোমার দেহের পত্যেক অণুপরমাণুকে মানসিক প্রত্যক্ষান্ত ভব করিবে তখনই দেহের চিন্তা হইবে চিন্তা বা ধ্যান করার অর্থই এখানে মনে মনে প্রত্যক্ষ করা, কিন্তু পুৰ্ব্বদৃষ্টবিষয়ের স্মরণ করা নহে । তুমি যে চিন্তার কথা বলিয়াছ উছ স্মরণ করা, উহ! প্রত্যক্ষ করা নহে । অন্য কোন বিষয়ের জ্ঞান ন হই য়া যখন কেবল মাত্র “নিৰ্ব্বত্তিক দেহাত্মজ্ঞান” (৯৪ পূ ১৩ প) ষ্টতে হইতে চিত্ত অস্তিত্ব হীরাং ন্যায় হইবে তখনই সবিতর্ক সমাধি হইল । এই ভাবট আনয়ন করার নিমিত্ত প্রথমে উপগঞ্জ আসনাদ গ্রহণ করিয়া নাসাগ্রন্যস্ত-দৃষ্টি হইবে, এবং অন্তরে অন্তরে দেহব্যাপক নিজের “অ নিভু” ষ্টর অন্তভবের চেষ্টা কঝিতে হয়। খুঁদ ও অন্য বস্থর দর্শন স্প:নাদি কালে ও আমাদের “আমিত্ব" অত ভূত কোন ধাৰাত নাই, কিন্তু উহ। কেবল “আমির” অনুভূতি নহে, উল্কা ঘটুপটাদির সহিত বিমিশ্রিত আমি ” অনুভব । অতএব ঘটগটাদির অ কারের সম্পর্ক হইতে ৰিমুক্ত ভাবে “আমির” অনুভব করারই চেষ্টা করিতে হুইবে চিত্ত এক একবার বিষয়াভিমুখে ধাবিত হইবে, অমনি তৎক্ষণাং প্রত্যাঙ্গত করিয়া তাহাকে সঙ্কোচিত করবে। এইরূপ করিতে কঙ্গিত লখন দেখিবে যে মন অীর কোন বtহ বিষয়ের দিকে যাইতে ছ না। ঘটপটাদির চিত্তা করিতেছে না তখন কেবল “আমিরই” অসম্ভব হইল। কিন্তু ইহা হইলেও, তোমার “আমি” এই প্রথমাবস্থায়ই দেহের সম্বন্ধ ইন্তে একবারে ৰিমুক্ত হুইবে না; দেহের প্রতোক অণু পরাণুর সহিত “আমির” মাখামার্থী সম্বন্ধ বা অভিন্ন भक्षर्क থাকিবে ; সুতরাং দেহই তখন “আমি” বলিয়া অনু 88