পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७] १भीरुfांथा । ©8% সানন্দ সমাধির বিবরণ। ইন্দ্রিয় এবং মনেতে সমাধি হওয়ার নাম ‘সানন্দ সমাধি’ ইহা পুর্বেই বলিয়াছি। সবিচার সমাধির পরিপক্ক ভাৰছায়ই এই সানন্দ সমাধির অস্তুর প্রস্ফটিত হয়। দৈহিকভূতের তন্মাত্র বা হুঙ্কাবস্থার অর্ন্তভূঠির সময়ও অন্তঃকরণের ক্রিয়া হয়, চিত্ত তখনও তদাকারে আকারিত হয় । ক্রিয়া না থাকিলে তদাকারে আকারিত হইতে পারে না, সুতরাং পূর্ণনিরোধাবস্থা হয় না। কিন্তু এই সমাধির অবস্থা স্থির রাখার নিমিত্ত তীব্রতর যত্ন করিতে করিতে, নিরোধশক্তি আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ; স্বতরাং ঐ ক্রিয় টুকু ( যদ্বারা অন্তঃকরণ, তক্ষত্রের আকারে আকারিত হইতেছিল সেই ক্রিয়া টুকও ) অন্তহিত হয়। অতএব “তন্মাত্রের” আর অনুভব থাকে না, তাহ হইলেই যোগীর অন্তঃকরণ একবারে নিৰ্ব্বিষয় হইল, সুতরাং কেবল নিজের অস্তিত্বটি মাত্রই তখন প্রকাশ পাইতে লাগিল। কিন্তু অন্তঃকরণ তপন কেবল স্বাক্ষাবস্থাপন্ন জ্ঞান শক্তিরূপে পরিণত হইলেও দেহেতে যখন পরিব্যাপ্তি রহিয়াছে তখন বুদ্ধি অভিমান, মন ইঞ্জিয় (জ্ঞানেক্রিয় ) এই চারি অবস্থায়ই বিদ্যমান আছে। অতএব তন্মাত্রের আকার পরিত্যাগ করিয়া যখন অন্তঃকরণ নিজের অবস্থায় দাড়াইবে তখনও প্রথমে তাহার স্কুলাবস্থারই ( ইলিয়াবস্থারই ) স্বগ্রাদেব হইবে, সুতরাং আনন্দ সমাধির প্রথমাবস্থা হইল।

  • এই সময়ে, নিৰ্ব্বত্তিক দেহাত্মজ্ঞান একবারেই বিনষ্ট হইয়া গেল, সুতরাং দেহের সহিত যে মমতা বন্ধন ছিল তাহাও সম্পূর্ণ বিশ্লষ্ট হইল, তবেই নদহিক মুক্তি হইল। আর নির্মুত্তিক ইঞ্জিয়াত্মজ্ঞান পুর্ণমাত্রার্থ (৯১ পৃ ২*প) বিকশিত হইল। এখন কেবল ইন্দ্রিয়ের সহিত মাখামার্থী ভাবাপন্ন ছইয়াই আত্মা প্রকাশ পাইতে লাগিলেন, যোগীঃ “ আমিটা” কেবল ইঞ্জিয় শক্তি আর চৈতন্তের উপরেই দাড়াইল । ইহাই সানন্দ সমাধির প্রথমা

বস্থার সজ্জিপ্ত বিবরণ। তৎপৰ, পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মানুসারেই ক্রমে মনেতে সমাধি হইবে, তখন ইক্রিয় শক্তি মনের মধ্যে বিলীন হইবে, ইঞ্জিয়ের স্বরূপ নিরোধ (৭৯ পৃ ১৬ প) হইবে, সুতরাং নিৰ্ব্বত্তিক ইক্রিয়াত্মজ্ঞানও বিনষ্ট হইবে, এবং ইঞ্জিয়