পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s J ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । Q80אי. জ্ঞানও (৯২ পৃ ২৪প) বিলুপ্ত o এবং একরূপ অপূৰ্ব্ব অবস্থার বিকাশ হয় । ভগবান পতঞ্জলি বলেন, “তজঃ সংস্কারে অন্ত,সংস্কার প্রতিবন্ধী - (৫১ সু) সমাধি অবস্থায় তীব্রতম নিরোধ শক্তির অবিছিন্ন সংস্কার রাশি সঞ্চিত হইলে ব্যুখনি শক্তির সংস্কার গুলি এক কালে অভিভূত হইয়া যায় ; স্বতরাং তখন কোন প্রকার চিত্ত বা অন্ত ক্রিয়াদি কিছুই থাকে না, কিন্তু একরূপ অপূৰ্ব্ব অনুভূতি হয়, এই অনুভূতির মধ্যে “ প্রকৃতি ” আর * পুরুষ ”. এতদুভয়ই থাকেন বটে ; কিন্তু তাহার কোন আকার বর্ণনা করার সাধ্য নাই, তাহীতে “আমি”ভাবের লেশমাত্রও থাকে না, তখন জ্ঞেয়াবস্থাটি লুকাইয়া গিয়া যেন কেবল উপলব্ধির অবস্থাতেই বিদ্যমান থাকে, *আমি এই জানিতেছি, আমি এই অনুভব করিতেছি, ইত্যাদি ভাবের লেশমাত্র থাকে না, অথচ প্রকৃতির অপেক্ষায় ষে পুরুষ বিভিন্ন বস্তু, তাছা প্রকাশ হয়। এই অবস্থায় বুদ্ধি রহিত যে আত্মার বন্ধন ছিল তাহও উঠিয়া যায়, এবং অণিমা লখীমা প্রভৃতি অষ্টেশ্বর্ষ্যের বিকাশ হয় "ততোহুণিমাদি প্রাদুর্ভাবঃ” (পা, দ: ) এবং প্রন্থ ত্যাত্ম জ্ঞানই হইতে থাকে। ইহা নিৰ্ব্বাজ সমাধির প্রথম.অবস্থা। o পরে, ধারাবাহী ক্রমে এই সমাধি থাকিতে থাকিতে, “ তস্তাপি নিরোধে সৰ্ব্বনিরোধান্নিবীজঃ সমাধিঃ (পদ ২ স্ব ) ঐ অবস্থায়ও নিরোধ হইয়৷ গেলে সমস্ত প্রকার সংস্কারাদির অভাব হইয় পড়ে, তখন নিবীজ সমাধির দ্বিতীয়াবস্থা হয় । এ কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, দেহের বৃত্তি নিয়েধি অবধি, রজঃ ও তমোগুণকে খৰ্ব্ব করিয়া সত্বশক্তির বৃদ্ধি হইতে হইতে যখন বুদ্ধিতে সমাধি হইল, তখন সত্বশক্তি বৃদ্ধির চরমাবস্থা হইল, রজঃ আর তমঃ ও এককালে অন্তহৃত হইয়া গেল। • অভ্যাসের পটুতায় উছ এমন ভাবে বিনষ্ট হইল যে, উহারা আর কখনও স্কৃিত্তিত হইতে ন পারে। আবার সত্ত্ব শক্তির ও যে অতিশয় বৃদ্ধি তাহ ও উহাদের ক্ষয় করার নিমিত্তই হষ্টয়াছিল, সুতরাং উহাদের যখন অস্তিত্ব পর্য্যন্তও বিলীন হইয়া গেল, তখন সত্ত্ব শক্তির .তেজও আপনিই কমিতে আরম্ভ করিল, বমিতে ক'মতে যখন প্রকৃতির অবস্থায় আসিল, তখন প্রকৃত্যাত্ম জ্ঞান এবং