পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭88 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [পঞ্চম । সংস্কার শেষ নিকাঁজ সমাধি হইল। পরে প্রকৃত্যবস্থাও বিলীন হইয়া গেলে, তখন যোগীর “আমির” মধ্যে, কোন গুণ, কোন শক্তি, কোন ধৰ্ম্ম, কোন বৃত্তি বা বিশেষণ ইত্যাদি কিছুই থাকিল না। যাহার সহিত মাখামাখি সম্বন্ধ হইয়া চৈতন্ত স্বরূপ আত্মা জড়রূপে মলিন বেশে নানা আকারে নানা প্রকারে প্রকাশিত হইতেছিলেন, তাহা গেল ; কেবল মাত্র চৈতন্য পদার্থটিই একাকী থাকিলেন, তখন আর কোন বিষয়ের ধ্যানও নাই, জ্ঞানও নাই, চিন্তাও নাই, কেবল মাত্র সেই নিছক অমুভূতি জিনিষটিই (২৯৬ পৃ ১৭ প) থাকিলেন। তখন, মুখও নাই দুঃখও নাই, আনন্দও নাই, নিরানন্দ ও নাই, প্রকাগু ও নাই, ভক্তিও নাই, ক্রিয়াও নাই, সংস্কারও নাই, কেবল প্রকাশ মাত্রই আছেন । দেহটি জীবন্ত না মৃত তাহ বুঝিবার জে৷ নাই । ইহাই নিৰ্ব্বাজ সমাধির চরমাবস্থা। এই অবস্থায় কেবলমাত্র চৈতন্যই থাকেন আর কোন প্রকার জড় বস্তুর সঙ্গে তাহার কোনরূপ সম্বন্ধই থাকে না, বাহ বিষয় হইতে প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত, সমস্ত বন্ধন হইতেই আত্মা বা চৈতন্য একবারে বিমুক্ত, একবারে স্ব" স্ত্র হুইয়। কেবল ব্ৰহ্মাবস্থাতেই অবস্থিতি করিতেছেন, এজন্য ইহাকে কৈবল্য মুক্তি বা প্রকৃতাত্মজ্ঞান, বা ব্ৰহ্মজ্ঞান ব। ব্রহ্ম প্রাপ্তিও বলে। ಗ ভগবানু পতঞ্জলিদেব বলিয়াছেন । পুরুষাৰ্থ শুন্যানাং গুণানাং প্রতি প্রসব কৈবল্যমিতি” ( ৪ পা ৩৪ স্থ )। এই সমাধির পর আবার কিরূপে জাগ্ৰং হয়, এবং তখন কিরূপ অবস্থা হয় তাহ। দ্বিতীয় খণ্ডেই বলিয়াছি। - সমাধির বিষয় যাহা বলিলাম ইহার প্রত্যেক কথায় শ্রুতি, স্মৃতি, ও দর্শনের প্রমাণ ও যুক্তি মীমাংসাদি অাছে, এবং আরও বহুতর কথা আছে তাহা ঈশ্বর সমাধি প্রকরণে বলিতে হইবে। এজগু এখানে সঙ্ক্ষেপেই বললাম, ফলতঃ, যে টুকু বলিলাম তদ্বারাই বুঝিতে পারিলে যে আত্মসমাধি দ্বারা প্রকৃতি নিরোধ পৰ্য্যন্ত বিকাশ হইয়া আত্ম জ্ঞানরূপ পরম ধৰ্ম্মও ৰিকসিত হয়, এবং নানা প্রকার অদ্ভুত শক্তি সমূহের প্রাচুর্ভাব হয়, তৎপর নির্বাণ মুক্তিও ছয় ।