পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ক্রমেই হতঐ ও যতদূর সম্ভব ক্ষীণতা প্রাপ্ত হইয়া কিছু একটু বৈলক্ষণ্য হইবে। ধৰ্ম্মের শক্তি গুলি স্ফরিত না হওয়া হেতুক ক্রমে উহাদের স্বরণ ক্ষমতার হ্রাস হইতে থাকিবে । পরে এই অবস্থায় যে সস্তান প্রস্থত হইবে তাহার ধৰ্ম্ম শক্তি বিকাশের ক্ষমতা কম হইয়াই সে ভূমিষ্ট হইবে। অতএব তাহার মস্তিষ্কের গঠন একটু অন্তরূপ হইবে এবং ঐ সন্তান বিশেষরূপ যত্ব করিলেও তাহার পিতা যতদূর ধৰ্ম্ম শক্তি "বিকাশ করিতে পারিত ততদুর পরিবে না। কারণ তাহার মস্তিষ্কের আর ততদূর ক্ষমতা নাই। পরে সে যদি আবার ধৰ্ম্ম শক্তির বিকাশে সাধ্যমত যত্নবান না হয়, কেবল সাধারণ ধৰ্ম্মেরই অনুষ্ঠান করে তবে তাহারও মস্তিষ্কের উপরিভাগ আরও একটু হতশ্ৰী, আরও একটু ক্ষীণ ও কিছু একটু বিসদৃশমত হইবে । এই প্রকারে তাহার সন্তান আবার আরও একটু অন্য রকম হইবে। এইরূপে বহুকাল পরে যদি মনুধ্য জগৎ অন্যান্য কারণে একেবারে বিনষ্ট বা উচ্ছিন্ন হইয়া না যায়,তাহা হইলে মনুষ্যের আকৃতি কিছু কিছু পরিবর্তিত হইয়া হইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসরের পর যে আমাদের বৃদ্ধ প্রপৌত্ৰগণ পুনৰ্ব্বার ক্রমে সাঁওতাল, কুকী, রাক্ষস, বনমানুষ হইবে, ইহা অব্যর্থ সিদ্ধান্ত বলিয়াই বোধ হয়। ভগবান পতৃ গুলির বিজ্ঞানোপবৃংহিত “জাত্যন্তর পরিণাম” ইত্যাদি স্বত্র দ্বারাও আভ্যন্তরিক প্রকৃতির পরিবর্তনে উন্নতি ও অবনতি এতদুভয়ই প্রতিপাদিত হইয়াছে। অতএব বলি, এখন সকলেই আপন আপন মনুষ্যত্বরক্ষার নিমিত্ত, ভারতের গৌরব পালনের নিমিত্ত, আৰ্য্যকুলের মহত্ত্বধ্বনি উদূঘোষণের নিমিত্ত যত্নবান হউন, যাহাতে ভারতবর্ষ বংশপরম্পর ক্রমে নীচ হইতে নীচতম জন্তুবিশেষ না হয় তাহ করুন । ধৰ্ম্মের অভাবে আর্য্যবংশের উৎসেদের সম্ভাবনা এবং ধৰ্ম্ম থাকিলে থাকিবার কথা । যেরূপ শরীর আত্মার সম্বল তেমন মন ও আত্মার সম্বল, যেরূপ শরীরের পুষ্ট ও বলিষ্ঠত দ্বারা আত্মার পুষ্ট ও বলিষ্টত তেমন মনেরও পুটি ও বলিষ্টতা দ্বারা আত্মার বলিষ্ঠত । শরীর এবং মন এতদুভদের বল একত্রিত