পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । না করিলে যে শীঘ্র শীপ্র কলিগ্রাসে পতিত হইতে হইবে, তাহা বোধ হয় অসন্দিগ্ধ ৷ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান থাকিলে শরীর নির্ব্যাধি ও সচ্ছন্দভাবে থাকে। শরীর তত্ত্ববিৎ মাত্রেই, বোধ হয় ইহা স্বীকার করিবেন যে, যতক্ষণ আমাদের সকলগুলি শরীর যন্ত্রের ক্রিয়ার সামঞ্জস্য (ক) থাকে, যতক্ষণ সকলগুলি যন্ত্র সমভাবে ক্রিয়া করে ; অর্থাৎ যে যন্ত্রের যেরূপ ক্রিয়ার নিয়ম আছে সেই নিয়ম হইতে বিশ্লিষ্ট হইয়া কোন যন্ত্র অধিক বেগে, কোনট অল্পবেগে কীর্ষ্য না করে ; আর যতক্ষণ তাপ ও তড়িতের সামঞ্জস্যের বাধা না হয় —অর্থাৎ যে যন্ত্রে যে পরিমাণে তাপ তড়িৎ থাকা আবশ্বক" সেরূপ না থাকিয়া কোন স্থানে তদপেক্ষা অধিক আর কোন স্থানে অপেক্ষাকৃত কম এরূপ না হয় ; ততক্ষণ কোন প্রকার ব্যাধি হইতে পারে না । কিন্তু যখন ইহার বিপরীত অবস্থা হয়, অর্থাৎ শরীর ক্রিয়ার সামঞ্জস্ত ভঙ্গ হইয়৷ কোন যন্ত্রের ক্রিয়া অধিক ও কোনটীর ক্রিয়া অল্প পরিমাণে হয়, অথবা কোন যন্ত্রের তাপ তড়িতের বৃদ্ধি বা কোন যন্ত্রের তাপ তড়িতের হ্রাস হয়, তখন নিশ্চয়ই রোগ জন্মে। এবং যখন শরীরকে উল্লিখিত সামঞ্জস্তে আনয়ন করা যায় তখনই শান্ত্ৰি (ইষধ দ্বারা কেবল এই সামঞ্জস্য ব্যতীত আর কিছুই করা হয় না) । কিন্তু যদি সকল ঘরেই ক্রিয় এক পরিমাণে কমে, এক পরিমাণে বাড়ে, এবং তাপ তড়িৎও সকল স্থানেই এক পরিমাণে হ্রাস ও বৃদ্ধি পায় তাহা হইলে কোন ব্যাধির আশঙ্কা নাই । এখন দেখা যাউক কিরূপে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা শরীর নির্ব্যাধি থাকে । এখানে আর একটি কথা মনে করা আবশ্বক। শরীর যন্ত্রের নিয়মিত কাৰ্য্য করিতে যেরূপ আত্মার যত্ন বা প্রেরণা বিশেষের আবষ্ঠক তেমন অনিয়মিত কার্ষ্যেও আত্ম-প্রেরণার প্রয়োজন ; শরীরের কোন যন্ত্রের ক্রিয়ায় নুন্নাতিরেক হওয়া বা কোনখানে তাপ, তড়িতের ইতরবিশেষ হওয়া অথবা কোন ব্যাধিকালে শরীরে যে ক্রিয়া হয় তাহার কোনটিই আত্মার প্রেরণও যত্ন বিশেষের সাহায্য ব্যতীত হইতে পারে না। - (*) Harmony.