পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। rá এখন ভাবুন, আত্মা যখন বাহ্যজ্ঞান ভুলিয়া ভগবানের ভক্তিরসে নিমগ্ন হয়, অথবা বিবেক-বৈরাগ্যাদি-ধর্মের বিকাশে পরমাত্মায় বিলীনপ্রায় হয়, তখন শীরের সহিত আত্মার আমিত্বসম্বন্ধ শিথিল হইয়া আসে, এমন কি ভক্তি বিবেকাদির চরমাবস্থায় আত্মা শরীরের মধ্যে থাকিয়াও শরীর হইতে সম্পূর্ণ পৃথকৃভাবে থাকে। স্বতরাং তখন আত্মার কোন প্রকার ষত্ব বা প্রেরণ শরীরের উপর থাকে না, এজন্য তখন ফুসফুস হৃৎপিণ্ডাদির ক্রিয় একবারে মিরুদ্ধ হয়। বিশেষতঃ নিরোধশক্তি আর বুখানশক্তি পরস্পরের বিরোধিনী । স্বতরাং যতক্ষণ নিরোধ শক্তির কার্ষ্য হয়, ততক্ষণ বুখান শক্তির কার্য হইতে পারে না, এবং যে পরিমাণে নিরোধ শক্তির বিকাশ সেই পরিমাণেই ব্যুথান শক্তির হ্রাস হয় । ( শারিরীক ক্রিয়া সকল যে বুখান শক্তির কার্ধ্য আর বিবেকাদি যে নিরোধ শক্তির কার্ষ্য , তাছাপূৰ্ব্বেই (ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মের লক্ষণ ও বর্ণনা প্রকরণে) সবিস্তারে বর্ণিত হইয়াছে)। স্বতরাং বিবেকাদি স্করণ হইলুেই শারীরিক ক্রিয় ক্রমে নিস্তেজ হইতে থাকে (ইহা প্রত্যক্ষেই দেখা যায়)। যখন ফুসফুস, হৃৎপিণ্ডাদির ক্রিয়া নিস্তব্ধ প্রায় হয় তখন তাপ আর তড়িৎও নিতাপ্ত ক্ষীণ হুইয়া পড়ে। স্বতরাং তখন সমস্ত শীর যন্ত্রেরই ক্রিয়ার নুনাতিরেক না থাকিয়া সামঞ্জস্য হয় ; এবং তাপ তড়িতেরও সামঞ্জস্য হয় । এই সময়ে ব্যাধি থাকিলেও শরীর নির্ব্যাধি হয়। পরে যখন জাগ্রৎ অবস্থা হয়, তখনও ঐরূপ সমতা হইতেই শরীর যন্ত্রের ক্রিয়ার পুনরারম্ভ এবং তাপ তড়িতের নুতন স্করণ হইতে থাকে। এ নিমিত্ত পরেও উহার সামঞ্জস্যই থাকে। অহোরাত্র মধ্যে অন্ততঃ তিনবার এইরূপ ধৰ্ম্মাম্বষ্ঠান করিতে পারিলে শারীরিক ক্রিয় ও তাপ তড়িতের সামঞ্জস্ত ভঙ্গ হইতে পারে না স্বতরাং কোন ব্যাধি হইবারই অবকাশ থাকে না। আর যদিও কদাচিৎ কোন পীড়া হয়, তখনও ধৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা উহার প্রতিকার হইতে পারে। মত প্রকার ধৰ্ম্মাম্বষ্ঠান আছে তাহাদিগের প্রত্যেকের দ্বারা এই উপকারটা মুনাধিক ক্রমে কিছু কিছু সংসাধিত হইবে সন্দেহ নাই। প্রত্যক্ষেও দেখা যায় যে ধর্ণীল ও ধৰ্ম্মপ্রাণ মহাত্মার বড় পীড়িত হন না। এরূপ বহুক্তর জাম্বল্যমান পৃষ্ঠাত দেখা গিয়াছে যে, একটা গ্রাম কিম্বা লম্বর