পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o«» ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ম্যালেরিয়া, মহামারী, বসন্ত প্রভৃতি ভয়ঙ্কর পাড়া দ্বারা আক্রান্ত হইয়া একবারে উৎসন্ন গেল, কিন্তু সেই গ্রামে সেই স্থানে একজন ব্ৰহ্মচারী কি পরিব্রাজক অক্লেশে নিৰ্ব্ব্যাধি ও সবল শরীরে সমস্ত রোগকে তুচ্ছ করিয়া দিন অতিবাহিত করিতেছেন । ইহাপেক্ষ আর প্রবলতম প্রমাণ কি হইতে পারে ? ধৰ্ম্ম ব্যতীত প্রকৃত মুখ হয় না। আমরা মোহান্ধ হইয়া હૈં ইন্দ্রিয়গণের নিকট প্রকৃত সুখের প্রার্থনা করি, তাহারা কি আমাদিগকে সেই প্রকৃত স্থখ আনীয় দিতে পারে ? সেই ইন্দ্ৰিয়গণ কি আমাদিগকে পরিতৃপ্ত করিতে পারে? যেখান হইতে ইন্দ্রিয়গণ মুখ আহরণে চেষ্টিত তাহ কি—সেই রস-গন্ধ স্পশাদিবিষয় সকল কি প্রকৃত স্বখের স্থান ? কখনই না। যদি বিষয় দ্বারা প্রকৃত স্থখ—প্রকৃত ভূপ্তি হুইত তবে আত্মার হাহাকার থাকিবে কেন ? নয়নাদি ইন্দ্রিয়গণ দেখিতে দেখিতে শুনিতে শুনিতে তাহা হইতে ফিরিয়া আসে কেন ? সেই স্বৰাষ্করস, সেই স্বসিন্ধরূপ, সেই কোকিলকুলের কাকলী যেন ঘৃণা পূৰ্ব্বক উপেক্ষা করিয়া আবার বিষয়াস্তরের নিমিত্ত ব্যাকুল হয় কেন ? যদি বিষয়ই প্রকৃত সুখের স্থান হইত তবে ইন্দ্রিয়গণ কদাচ তাহ উপেক্ষা করিতে পারিত না, কদাচ তবে নিত্য নুতন পাইবার জন্য লালায়িত, উৎকণ্ঠিত হইত না । তাই বলি ইঞ্জিয়গণ প্রকৃত মুখ আহরণ করিতে সমর্থ নয়। যে সুখের জাম্বাদ করিলে মনের আর অরুচি হয় না—যে স্বখ পাইলে মন উপেক্ষ করিতে চায় না তাহারই নাম প্রকৃত মুখ। একমাত্র ধৰ্ম্মই সেই প্রকৃত সুখের আকর—সেই প্রকৃত স্বখের ভাণ্ডার। যখন ভক্তি ও বিবেকাদির উত্তর তরঙ্গমাল উদ্বেলিত হইয়া আত্মাকে প্লাবিত করিয়া ফেলে, তখন আত্মা অমৃত সাগরে ভাসিয়া ভাসিয়া অমৃত পানে উন্মত্ত হয়, তখন আত্মার জরে আনন্দ বাহিরে আনন্দ আনন্মের বাজার মানদের হাট। সেই বাজারে না গেলে, সেই আনন্দ সেই শান্তি বুঝা যায় না। তবে এইমাত্র বলা বা কেনে আনন্সের মাম্বাদে পৃথিবীপতিও সাম্রাজ্যমুখ দিত ইয়া গন্ধমৰালী ভয়েন তাছা যে সাম্রাজ্য মুখ অপেক্ষায় অধিক, সন্দেহ নাই ।