পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। &న ধৰ্ম্মের দ্বারাই জাতীয়তা ও সমাজ রক্ষণ । যাহাতে মনুষ্য সমাজ মধ্যে পরস্পরের সহিত পরস্পরের সহানুভূতি অভিব্যক্ত হয় তাহারই নাম জাতীয়তা । সেই জাতীয়তা জন্মাইয়া দেয় এমন কতকগুলি কারণ আছুে। যত পরিমাণে পরস্পরের কার্য্যকলাপ, আহার ব্যবহার, রীতিনীতি, প্রভৃতি একভাবাপন্ন হইবে তত পরিমাণে জাতীয়তার বৃদ্ধি পাইবে। ইহা স্বীকার্ষ্য যে ধৰ্ম্মহীন স্বেচ্ছাচার রাজ্যে উক্ত কাৰ্য্যকলাপ ও আহার ব্যবহারাদির ঐকমত্য হওয়া কদাচ সম্ভবে না। কারণ জগতে দুই জন মনুষ্যের রুচি এক প্রকার দৃষ্ট হয় না। প্রত্যেক ব্যক্তিরই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রুচি। কিন্তু ধৰ্ম্মানুষ্ঠান হইলে রুচির পার্থক্য সত্ত্বেও কাৰ্য্যকলাপাদির একত্ব হইতে পারে এবং সেইরূপ কাৰ্য্য করিতে করিতে পরিণামে রুচি এবং প্রকৃতিও কাৰ্য্যানুযায়ী হইয়া উঠে । কারণ প্রকৃত ধৰ্ম্ম রক্ষা করিতে হইলে যে যে আচার ও আহারাদির আবশ্বক হয় তাহ নিয়মিত ও নির্দিষ্ট । সন্ধ্যা, আহ্নিক, জপ, স্নান, দান, অতিথি সৎকার, উৎসব, তীর্থযাত্রা, শৌচকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান, গোসেবা, সাধু ব্ৰাহ্মণ সেবা, দেবতা ভক্তি, ভগবদ্বপাসনা প্রভৃতি অনুষ্ঠান দ্বারাই ধর্মের রক্ষা ও উন্নতি হয়। কাল্পনিক ধৰ্ম্ম ভিন্ন প্রকৃত ধৰ্ম্মের উন্নতিকল্পে এই কাৰ্য্যগুলির অনুষ্ঠান ব্যতীত আর কোনই উপায়ের সম্ভাবনা নাই।" সুতরাং ধৰ্ম্মানুশীলন ‘করিতে গেলেই অগত্যা সকলেরই একরূপ কাৰ্য্যকলাপ করিতে হয়। এবং ধৰ্ম্মের উন্নতি দ্বারা ক্রমে মানসিক প্রকৃতিরও এক ৷ হইয়া পড়ে, তখন প্রকৃত জাতীয়তা সংস্থাপিত হয়, তখন পরস্পরের নিমিত্ত পরস্পরের সহামুভূতি, সকলেই সকলের স্বখে স্বর্থী সকলেই সকলের দুঃখে দুঃখী হইয়া থাকে। অতএব ধৰ্ম্মই একমাত্র জাতীয়তার ভিত্তি, ধৰ্ম্মই সকলকে এক সুত্রে বন্ধন করিবার জালান স্বরূপ। ধৰ্ম্মশীল মহাত্মার অন্তায় স্বার্থপরতাদি দোষ থাকিতে পারে না। স্বতরাং ধৰ্ম্ম দ্বারা সমাজেরও রক্ষা। অন্যায় বার্থ পরতা আর অবিশ্বাস এই দুইটাই সমাজের প্রবলতর শত্রু। এই দুট না । থাকিলেই দণ্ডদম্য পশুর ন্যায় সমাজকে রাজদণ্ডে পীড়িত হইতে হয় না, ' बिंब्ररीक अर्थ शाद्वग्न झांब्रिज एक्वेळउ७ एग्न मी । e