পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

×&, ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । । [ दिउँौन्न হইবে। নিরোধশক্তিকে প্রথমে দুই প্রকারে ভাগ করা যায়। প্রথম বৃত্তি-নিরোধ" দ্বিতীয় “স্বরূপ-নিরোধ।” বাহিরেরবস্ত বা দেহীয় কোন বস্তর সহিত সম্বন্ধ হইয়া যে, ইক্রিয়, প্রাণ, মন প্রভৃতির মধ্যে এক একরূপ ঘটনাবিশেষ উপস্থিত হয়, তাহার নাম “বৃত্তি।” এই বৃত্তি প্রতি মুহূর্তেই প্রত্যেক ইঞ্জিয়ের মধ্যে শত শত বার স্বটিতেছে ; এক মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই চক্ষু, সহস্র বিষয় দেখিতেছে। শ্রবণ, সহজ কথা শুনিতেছে। চক্ষু একবার ভিত্তি, একবার কবাট, একবার গবাক্ষ, একবার স্তত্ত, একবার রেল, এইরূপে প্রতিক্ষণেই একটা ছাড়িয়া আর একট, সেটা ছাড়িয়া অপর একুটী উপলব্ধি করিতেছে । কর্ণেপ্রিয়ও একটি শব্দ ত্যাগ করিয়া আর একটি, * আবার সেইটি ছাড়িয়া অপরট, এইরূপে শত শত শব্দের দিকে বিধাবিত হইতেছে। স্পর্শেক্রিয় ও মন প্রভৃতি সকলেই এইরূপ চঞ্চলতাশাল রইয়া সৰ্ব্বদা ক্রিয়া করিতেছে। ইক্রিয়াদির এই প্রক্ষার চঞ্চলতা দমন করিয়া, কেবল একটি মাত্র বিষয়ে স্থির রাখাই একপ্রকার বৃত্তিনিরোধ। এ অবস্থায় ইক্রিয়াদির প্রতিক্ষণে এক একরূপ বৃত্তি না হইয়া, অনেক সময় পৰ্য্যস্ত কেবল এক প্রকার বৃত্তিই হইতে থাকে। এই জন্য এই রূপ বৃত্তি-নিরোধকে “ইতর বৃত্তি নিরোধ" বলা বাইতে পারে। আর ইক্রিয়াদির বিষয়জনিত কোন প্রকার বৃত্তি হইতে না দিয়া কেবল তাহদের নিজ নিজ অবস্থায়ই সংস্থত রাখার নাম প্রকৃত “বৃত্তি নিরোধ ” এ অবস্থায় ইক্রিয়াদি কেবল নিজ নিজ স্বরূপেই প্রকাশিত হইতে থাকে, তাহদের বিষয়জনিত কোন প্রকার বৃত্তিই থাকে না। ইক্রিয়, প্রাণ ও মন প্রভৃতির কেবল মাত্র নিজ নিজ অবস্থাটার নাম "স্বরূপ”; সেই স্বরূপেরও স্ফুরণ হইতে না দিয়া একবাৱে সংস্থত রাখার নাম "স্বরূপনিবােধ"। ইহা পরে বিস্তার করিতেছি। বৃত্তি নিরোধের বিভাগ। - উক্ত উভয়বিধ বৃত্তিনিরোধই প্রথমে পাঁচ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। প্রথম— ইগ্রিক প্রাণাদি-বৃত্তি-নিরোধ; দ্বিতীয়-আনসাভিনিরোধ; তৃতীয়—জডিৰাম-বুদ্ৰিজিরোধ; চতুর্ধ-বুদ্ধিবৃত্তি-নিরোধ; পঞ্চম-প্রকৃতিবৃত্তি-নিরোধ। ইক্রিয় ও প্রাণাদিকে প্রতিক্ষণে.মানা প্রকার বৃত্তি হইতে নিবৃত্ত রাখিয়া