পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( * } ৰাছেল, অনেকের প্রতি ঈশ্বরের দয়া এমন বিশেষরূপে প্রকাশিত হয় যে র্তাহার বিমা উপদেশে আপন হইতে অনেক সত্য অতি সহজে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন। অন্যে বহু চেষ্টা করিয়া যাহা আয়ত্ত করিতে না পারে, তিনি ঈশ্বরকৃপায় বিন অধ্যয়নে সে সকল দেখিতে পান। ধৰ্ম্ম জগতে ষত সত্য আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাঙ্কণর অধিকাংশ ঐরূপ প্রত্যাদিষ্ট সাধুদিগের জীবনের ফল। যাহা হউক, এরূপ মনুষ্য সৰ্ব্বদা সংসারে জন্মে না। সংসারে সাধারণতঃ যে সকল মনুষ পূৰ্ব্বে ছিল এবং বর্তমানে আছে, তাহার অল্পজ্ঞ, অপবুদ্ধি, অপচিন্তাশীল, অপমীমাংসাপ্রিয় ও অপসহিষ্ণু। এ জন্য গুৰু বা আচাৰ্য স্বীকার করা একরূপ প্রকৃতিসিদ্ধ। - আরও এক কথা আছে । যখন সুবিধা আছে, যখন এক জন কৃতবিদ্য সাধুর নিকট গমন করিলে অনায়াসে অনেক কষ্ট মিবারিত হইতে পারে, তখন নিরর্থক কষ্ট পাইবার প্রয়োজন কি ? যৎকালে মনুষ্যগণ নিতান্ত বনাবেশে কাল যাপন করিত, যখন সকলেই প্রায় ভুল্যাবস্থায় ছিল, সে সময়ে কেছ যে কাছাকেও সাহায্য করিতে পারবে এরূপ আশা ছিল না, তথাপি মনুষ্যের প্রাকৃতিক অভাব ও দুর্বলতাই তাছাদিগকে পরস্পর সাহায্যের জন্য উত্ত করিয়াছে, এবং সেই কারণেই মনুষ্য জাতি সমাজবদ্ধ কুইয়াছে : পারিবারিক, সামাজিক ? মাধ্যাত্বিক উন্ন ৯৭