পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ssa ) সামঞ্জস্য আছে। মনুষ্য যখন জ্ঞান হারাইয়া কেবল অন্ধ ভক্তির আশ্রয় গ্রন্থণ করে, তখন সে ভক্তিজোতের প্রবল বেগ সম্বরণ করিতে ন পারিয়া পৌত্তলিক হুইয়। দাড়ায়। আবার ভক্তির মর্য্যাদা অতিক্রম করিয়া জ্ঞানের শরণাপন্ন হইলেও সে শুষ্ক ও বিকৃত ভাবাপন্ন হুইয়া নাস্তিকতা অথবা একত্মবাদের শরণাপন্ন হইয় পড়ে | বস্তুতঃ পিতা, মাত, আচাৰ্য্য প্রভৃতি উচ্চ শ্রেণীর লোকদিগকে ভক্তি বিশ্বাস কর, স্ত্রী পুত্রদিগকে প্রীতি বাৎসল্য করা, দাস দাসী ও দীন দরিদ্র প্রভৃতিকে দয়। কর, স্বাভাবিক কৰ্ত্তব্য । এ সকল না করিলে পাপ হয়। কিন্তু এ সকল কার্য্যেরও সীমা আছে। সেই সীমার মধ্যে থাকিতে পারলে আর পাপের ভয় নাই, লঙ্ঘিত হইলেই পাপ। মনুষ্য হৃদয় নিহিত জ্ঞান এই সীমার নিয়ামক। প্রবল ভক্তিস্রোতের মুখে নিপতিত হইয়। জ্ঞানের উপদেশ অবজ্ঞাত হইলে নিশ্চয়ই বিনাশ। এই জন্য দেখা যায় মনুষ্য এক সময়ে যাহা বিশুদ্ধ উপকারের প্রত্যাশায় করে, আপন সীমাতে না থাকিতে পারিয়া তাছ ছইতেই আবার অত্যন্ত অপকত হয় । ন্যায়ের সীমা উল্লঙ্ঘন করিয়া দীন দরিত্রের প্রতি অবশ্য কৰ্ত্তব্য দয়ার অনুষ্ঠান করিতে গিয়া যেমন পাপ জন্মে, ধর্মের বিরোধে স্ত্রী পুত্ৰগণের প্রতি অবশ্য কর্তব্য প্রীতি স্নেহ অধিক ইলে যেমন পাপ হইয়া থাকে, বিবেকের আদেশ অবহেলা করিয়া