পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১১৬ ) পিতা মাতার প্রতি নিতান্ত কৰ্ত্তব্য ভক্তি শ্রদ্ধা করিলে যেমন পাপ হয়, উপদেষ্টাকে ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত করিয়া তৎপ্রতি ভক্তি , বিশ্বাস স্থাপন করাও ঠিক সেইরূপ । র্যাহার যাচ্ছ ন্যায্য প্রাপ্য তাছ, উহাকে না দিলে যেমন বিশ্বাসঘাতক ও কতয় বলিয়া গণ্য হইতে ছয়, একজনের প্রাপ্যাংশ অপরকে দিলেও ন্যায়বিচারে সেইরূপ বিশ্বাসঘাতক ও কৃতয় বলিয়া গণ্য হইতে হইবে। সুতরাং ঈশ্বরের প্রাপ্য ঈশ্বরকে ও গুৰুর প্রাপ্য গুৰুকে দিতে হইবেক, একের প্রাপ্য অপরকে দিতে পারা যায় না, দিলেই বিশ্বাসঘাতক বা চোর বলিয়া গণ্য হইতে হইবে। মনে কর স্ত্রী ও কন্যা উভয়কেই প্রীতি করা কৰ্ত্তব্য । কিন্তু স্ত্রীর প্রীতির অংশ কন্যাকে এবং কন্যার প্রীতির অংশ স্ত্রীকে দিবে বলিয়া কি কম্পনাও করিতে পার ? যদি না পার, তবে ঈশ্বরের প্রাপ্য পূজা ভক্তি বা স্তুতি বন্দনাদি কদাচ গুৰুকে দিতে পার না। এইরূপে জনা যাইতেছে যে এক জনের প্রাপ্য অপরকে দিবার অধিকার বস্তুত কাহারও নাই । অধিকার না থাকিলেও জ্ঞানশূন্য ভক্তি হইতে যে এক প্রকার মোছ জন্মে সেই মোহ আমাদিগের কৰ্ত্তব্যজ্ঞান ভুলায় দেয়, এবং আমাদিগকে উন্মত্ত করিয়া, তুলে। সেই মত্ততায় পড়িয়াই আমরা একের প্রাপ্য অন্যকে দিতে ভয় করি না । এই কারণে ভারতে “ ব্যাসো মারায়ণঃ স্বয়ং ”-পতি হইয়াছে। এই কারণেই শঙ্করাচার্য।