পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ss१ } “ শঙ্কর সাক্ষাৎ” বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছেন। এই কারণেই চৈতন্য, অদ্বৈত, মিত্যানন্দ প্রভৃতি বৈষ্ণবগণ ঈশ্বরাবতার বলিয়া পরিগৃহীত হইয়াছেন । এই কারণেই দাশরথি, ভার্গব, বাসুদেব প্রভৃতি রাজনবর্গ ঈশ্বর বলিয়া পূজিত হইয়াছেন। এই কারণেই ভারতে “ গুৰুবির্বশ্বেশ্বরঃ সাক্ষাৎ গুৰুর্দেবো মহেশ্বরঃ ” পঠিত হইয়া থাকে। এই কারণেই শিষ্যগণ ঈশ্বরের প্রাপ্য যথাসৰ্ব্বস্ব গুৰুর চরণে দিয়া কৃতাৰ্থ হইতে চায়। আবার এই অনুচিত অধিকার হস্তগত করিয়াই ভারতীয় আচাৰ্য্যবংশ অধঃপাতে গিয়াছেন। ইছারা যখন দেখিলেন শিষ্যগণের অন্ধ হইবার আর বাকি নাই, যখন দেখিলেন শিষ্যগণ অটল বিশ্বাস সহকারে সমস্ত ঐশী মৰ্য্যাগ তাহাদিগকে অপর্ণ কারণ তেছে, এবং মাছ কখন কল্পনা করেন নাই তাছ। নিবির্বঘ্নে পাইতেছেন, তখন র্তাহার। আনন্দে অপমাদিগের ভাবি পতন ভুলিয়া গেলেন। সুতরাং ইহুদিগের স্বার্থ সাধনের উৎকৃষ্ট সুযোগ হইল। এই সুযোগে ভঁাহার পুরাতন ছিন্দু শাস্ত্রের স্থান বিশেষের * অর্থ পরিবর্তন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং তন্ত্র নামক অভিনব ধৰ্ম্ম প্লাস্ত্রে সেই পরিবর্তিত অাদর্শ স্পষ্ট করিয়া আপনাদিগের মনোরথ সিদ্ধির উপায় প্রস্তুত করিলেন। আমরা একটী প্রমাণ উদ্ধৃত করিতেছি, তাছা দেখিলেই বুঝা যাইবে, উত্তর বংশীয় উপদেষ্টত্ব কেমন ধূৰ্ত্ততাপূর্ণ।”