পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( أولاد ) ইমদ্ভাগবতে লিখিত আছে “আচাৰ্য্যং মাং বিজানীয়াং মাবমনোজ কৰ্ছিচিৎ। ন মর্তাবুদ্ধ্যা হুয়েত সৰ্ব্বদেবময়ে গুৰুঃ ” ইছার অর্থ কি ? ভগবান বলিয়াছেন, আমাকেই আচাৰ্য বলিয়। জানিবে, মনুষ্য জ্ঞান করিয়া তাছাকে অবজ্ঞা করিবে না এবং অস্থয়াও করিবে না। কেমন গুৰু সৰ্ব্বদের ময়। ইহার প্রকৃত ভাব কি ? সরল ভাবে ইহা হইতে কি ভাব প্রাপ্ত ছওয়া যায় ? গুক যে সকল কাৰ্য্য করেন ও যে সকল বাক্য বলেন তাই উপহার নিজের নহে, তাছা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ । তিনি ঈশ্বর হইতে যাহা প্রাপ্ত হন তাহা অবিকৃত রাখিয়া জগতে প্রকাশ করেন। তাছাতে র্তাহার নিজের বিন্দুমাত্রও কর্তৃত্ব নাই, স্বাধ নাই। সুতরাং গুৰুর কার্য, গুৰুর বাক্ষ্য সকলই ঈশ্বরের, সকলই দিব্য ভাবে পূর্ণ। অতএব ইহা বলা যায় যে গুৰু যদিও মানুষ তথাপি উপস্থাকে অবজ্ঞা কৰ্ত্তব্য মছে : র্তাহার গুণে দোষ দৃষ্টি কৰ্ত্তব্য নহে। কেমন গুৰুর কথা ও কাৰ্য্য সকলই ঈশ্বরের, সৰ্ব্বপ্রকারে তাছা দিব্য ভাবের আধার। কিন্তু অধস্তন আচাৰ্যবংশীয়গণ এই সুযোগে তন্ত্র শাস্ত্রে লিখিলেন, গুৰু অ'র ঈশ্বর এক, পূজা ও ভক্তি যাছা কিছু সকলই গুৰুকে কর । গুৰু গৃছে উপস্থিত থাকিতে ঈশ্বরকে পৃথক করিয়া পূজা কর অপরাধ, অতএব তাছা কৰ্ত্তব্য নহে। পূজা ভক্তি সকলই গুৰুচরণে অৰ্পণ কর। গুৰু সন্তুষ্ট থাকিলেই