পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৪১ ) অধ্যায়ে প্রদর্শিত হইয়াছে। মনুষ্য যদি আপম। আপনি "এই সত্য হইতে বঞ্চিত হয়, তবে মমুষ্যের সঙ্গে পশুর কোন প্রভেদ থাকে না। এখন বুঝিতে পার গেল সত্যই মনুষ্যের পরম সম্পদ, ধৰ্ম্মই মনুষ্যের জীবন, সত্যই মনুষ্যের মূল্য এত বৃদ্ধি করিয়াছে যে সে সেই জন্য সমস্ত জগতের উপর রাজা বলিয় পরিচিত, সত্যশূন্য মনুষ্য এক মুহূৰ্ত্তও শোভা পায় না। আর্য্য কবি বলিয়াছেন, সত্যবিহীন মনুষ্য পশুর সমান, আমি বলি সত্যবিহীন মনুষ্য পশু অপেক্ষা অধম । কেননা পশু সত্যের বিরোধী হুইতে পারে না, মনুষ্য বিরোধী হইতে পারে । এখম বুঝিবার আর বাকি রছিল মা যে সত্য কেবল মনুষ্যের জন্য, অন্য কাছুরিও জন্য নছে। সত্যের উপযোগিতা মনুষ্য ভিন্ন আর কোথাও নাই। অতএব যেমন মনুষ্যের জন্য সত্য তেমনই সত্যের জন্য মনুষ্য। যদি সত্যের উপযোগিতা আর কোথাও থাকিত, তবে সেই সেই স্থানেও সত্যের ভাব দেখিতে পাওয়া যাইত । আপন উপযোগিতার জন্যই মনুষ্য সত্যের বিষয়ে সম্পূর্ণ দায়ী। মনুষ্যের চক্ষুষে মনুষের জ্ঞাতসারে যদি এক বিন্দু সভ্যও স্থলিত বা পতিত হয়, তবে তাছার ফল ভোগ মনুষ্যকেই করিতে হুইবে ইহার আর কিছু মাত্র সন্দেহ নাই ? সত্যস্বরূপ ঈশ্বর হইতে সত্যরূপ অগ্নিশিখ সকল জগতে সঞ্চরিত হইতেছে, মনুষ্য ভিন্ন আর