( ৯৭ ) অন্ধ বিশ্বাসও সেইরূপ এ পাত্র হইতে ও পাত্রে, ও পাত্র হইতে সে পাত্রে স্থাপিত হইতে থাকে। এই ৰিশ্বাস সৰ্ব্বদা উঠিবার ও বসিবার যন্ত্রণ সহ্য করিতে না পারিয়া পরিশেষে দেশত্যাগী হইয়া চলিয়া মায় । সুতরাং যিনি এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া এভ কাল জীবিত ছিলেন, তাহার মৃত্যু অতি শীত্ব আসিয়া উপস্থিতু হয় । মনে কর, এক জন বৈষ্ণব আপন পিত। পিতামহ প্রভৃতির নিকট শুনিয়াছিলেন, কৃষ্ণ জগতের উপাস্য, কৃষ্ণই কুষ্টিস্থিষ্টি সমুদ্ৰায়ের মূল কারণ। এই শ্রুতির উপরে পিতৃগণের শ্রদ্ধার গ্রন্থ দেশীয় প্রচলিত ভাগবত প্রভৃতি পুরাণ প্রাণস্বরূপ হইয়া সেই ধারাবাহী বিশ্বাসের জীবন দান করিয়াছিল । এইরূপ বিশ্বাসী জীবন লইয়া মানবাত্মা কিছু কাল মুখে কাটাইতে পারে, অথবা এই রূপ অকিঞ্চিৎকর ক্ষণভঙ্গুর প্রমাণের উপরেও কিছু কাল মাত্র মানবাস্কারবিশ্বাস দাড়াইয়া থাকিতে পারে। কিন্তু যখন সেই সাধক সাধুর বদনে ও নানাবিধ ধৰ্ম্মগ্রন্থে দেখিতে ও শুনিতে পাইলেন যে ঈশ্বর অঙ্গ, অক্ষর, অচ্যুত, তখন আর তিনি নিশ্চিড় মনে মুখে অন্ন দিতে পারিলেন না । কৃষ্ণের সঙ্গে এই সকল স্বরূপের সামঞ্জস্য না দেখিয়া তাহার হৃদয় ৰ্যাকুল হইয়া উঠিল । কেন না তিনি ভাবেন ঈশ্বর অঙ্গ, তাহার জন্ম ৱাই, কিন্তু సి
