( ९० ) আছে । ভবে “ মনুষ্যজাতিকে সুখী করাই তাদৃশ উপযোগিতার প্রয়োজন * বলত্তে অবশ্যই দোষ হুইয়াছে ? না । ইতর জন্তুদিগের জ্ঞান ভগবাদির সম্ভাব নাই । সুতরাং চিন্তা, যত্ন ও অধ্যাবসায়ের সামঞ্জস্য " তাহাদিগের মধ্যে দৃষ্ট হয় না। এজন্য বস্তু গুণ, ইষ্টানিষ্ট ও ফলাফল চিন্তা করিয়া তাহার কোন কার্যের অনুষ্ঠান কৱিতে পাৱে না । তাছা ন পারিলেও জড়ের উপযোগিতার ফল সম্পূর্ণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। অতএব "অতি সহজে বুঝা যাইতেছে যে, ইন্দ্রিয়গণ ভৌতিক বস্তুর উপযোগী হইলেও তাহার কেবল উপযোগী মাত্র। জ্ঞাম, ভাব ও ইচ্ছা এবং চিন্তা ও যত্নের সমাধান ব্যতীত শুদ্ধ ইন্দ্রিয়মাত্র দ্বার কোম প্রয়োজন সিদ্ধ হইতে পারে না। পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে যে, বস্তুর গুণেই বস্তু পরিচিত হয় ; কিন্তু কাহার নিকটে? বস্তুর গুণানুসারে বস্তুকে গ্রহণ করা কি ইন্দ্রিয়ের সাধ্য ? কখনই না । ইন্দ্রিয়গণ বস্তুজ্ঞানের স্বর-মাত্র, গ্রহীতা মছে । জ্ঞানই এাহীতা । আবার ইচ্ছা ও ভাব সহায় না হইলে সে জ্ঞানও অচল । পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ প্রভৃতিপ্রাণী, বৃক্ষ, লতা, গুল্ম প্রভৃতি উদ্ভিদ, সকলেই ভৌতিক বস্তুর গুণে কখন উপক্কত কখন বা অপকৃত হইতে পারে, কিন্তু সেই সকল বস্তুকে ‘উপকারী কি অপকারী বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে না। আবার উপকার ছউক,কি অপকার হউক, মানুষের নিকট
