পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ ) জড় যে কি রূপ গুণশালী, সে নিজে তাছা কিছুই জানে না ; এবং জড়েতে ধে সকল গুণ ও রস আছে, তাছ। তাছার মিজের কোন প্রয়োজনেও আইসে না । অথচ বিধাতা জড় রাজ্যে এত গুণ এত রস ছড়াইয়। রাখিয়াছেন কেন ? ইছা ভাবিলে হৃদয় পুলকে পূর্ণ ছয় । ইহার প্রত্যেক গুণ ও রস মনুষ্যজাতির কৃতজ্ঞতা ও ভক্তির উদ্দীপক। জননীর স্তন্য হইতে চন্দ্র, স্থৰ্য্য প্রভৃতি প্রকাও পদার্থনিচয় ষতই চিন্ত করি, ততই দেখিতে পাই, ঈশ্বরের মঙ্গল হস্ত সৰ্ব্বদ আমাদিগের মস্তকোপরি প্রসারিত রহিয়াছে। & জড়ের গুণ ও রস সে নিজে অনুভব করিতে পারে না, সুতরাং স্বয়ং যথোপযুক্ত মতে যোগ বিয়োগ করিয়৷ উপকৃতও হইতে পারে না । এই জন্য জড় জগতে কোন উপকার অপকার সম্বন্ধও দৃষ্ট হয় না, কিন্তু জীবগণের উপকার অপকার সর্বদাই দৃষ্ট হইতেছে। জীবগণের মধ্যে জড়ীয় গুণ কাৰ্য্য করিত্বে পারে সত্য, কিন্তু মনুষ্য ভিন্ন কোন জীব ইচ্ছ। মত উপকার লাভ করিতে পারে না। জড়ীয় গুণ জ্ঞানসহযোগে প্রযুক্ত ন হইলে সৰ্ব্বথা মন্দ ফল প্রসব করাই সম্ভব। জ্ঞানই জড়ের সম্পূর্ণ উপযোগিতার স্থল। জ্ঞান ব্যতীত জড় একেবারে অন্ধ ও অকখণ্য। সুতরাং নিশ্চিতরূপে জনা যাইতেছে যে জড় পরাধীন জড়ের যা কিছু কাৰ্য জগতে প্রতিষ্ঠিত হুই