পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৯ ) করিডে নিযুক্ত হয়, এবং ইচ্ছা সেই সম্বন্ধ ও সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া যখন বিমুগ্ধ হয়, তখন আত্মাকে কাৰ্য করিবার জন্য উত্তেঞ্জিত করে। সুতরাং ইহাই সত্য যে এই লক্ষণত্রয় যাহার আছে, তাহাই আত্মা ! জিজ্ঞাস্ব পাঠক ! তুমি যদি ইছাতে আপত্তি কর, যদি বল “ আমাকে স্পষ্টরূপে না । দেখাইলে মানিব না।” তবে আমি বলিব, জগতে যাহা লক্ষ্য বা বিশেষ্য নামে খ্যাত, তাছার একটকেও স্পষ্টরূপে বুঝাইবার উপায় নাই। সকলকেই লক্ষণ বা বিশেষণ দিয়৷ বুঝিতে হইবে। কেননা জগতে এরূপ কোন বস্তুর স্মৃষ্টি হয় নাই, যাহা সম্পূর্ণরূপে অন্য বস্তুর সমান হইতে পারে। যেমন আত্র একটা বিশেষ্য বস্তু ; কিন্তু আত্রের সমান, আত্র ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে না । সেই রূপ কোন বস্তু সম্পূর্ণ ভাবে অন্য বস্তুর সমান হইলে, তাছার পার্থক্য রছিল কৈ ? যদি পার্থক্য কিছুই না থাকিল, তবে অন্য বস্তুর সমান, সুতরাং সে বস্তু এ বস্তু একই হইয়া যায়। মনে কর, যে ব্যক্তি হস্তী কিরূপ জানে,না, তাহাকে হস্তী বুঝাইতে হইবে। তখন তুমি কি করিবে ? তুমি হয়ত, একটা ছত্তীর প্রতিমূৰ্ত্তি এক খানি ফলকে অঙ্কিত করিয়া দেখাইবে ; অথবা তুমি যদি আরও নিপুণ হও, এবং অধিক স্পষ্ট করিয়া বুঝাইতে চাও, তবে মা হয় মৃত্তিক। প্রভৃতি উপকরণ লইয়। একটা সুন্দর হস্তীর মূৰ্ত্তি গঠন করির ' দেখাইরে। কিন্তু তাছাতে হস্তী দেখান হইল কৈ ? সে