পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՆ) নন্দনে নরক گیتی-تی-ت= তাহার কথার কোনও উত্তর দিল না । একটু আড়ালে গিয়া ভিখা বলিল, “আজ সন্ধ্যার পর সাতটা সাড়ে-সাতটার সময় একখানি প্রকাণ্ড ব্রুহাম গাড়ী চোরগলির মধ্যে মন্দিরটার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইয়াছিল। ক্রহাম খান কার বলিতে পারি না, তবে দেখিলাম তাহার মধ্যে একটা মৰ্কট বসিয়া আছে ; তার বদলে আমি সেখানে বসিলে অনেক ভাল মানাইত। মোড়ে একটি সুন্দরীকে আসিতে দেখিয়াই ছোকরা-মৰ্কটটা একলাফে গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িল ; আমিও ঘুরিয়া মন্দিরের আড়ালে গিয়া দাড়াইলাম।” “কোনও কথা শুনিতে পাইয়াছিলি ?” ভিখা বলিল, “না শুনিলে তুমি আমাকে ছাড় কই ? ছড়ী বলিল, “যাহা লিখিয়াছ সব কথা সত্য তো ? কথা ঠিক থাকিবে ?—মৰ্কটটা দীত বাহির করিয়া হাসিয়া বলিল, “তোমায় সন্দেহ হইতেছে নাকি সুন্দরী ? আমার চেহারা দেখিয়া বুঝিতে পারিতেছ না, আমি কত বড় লোকের ছেলে ?”—তু ড্রীট গাড়ীখানার ঝকঝকে রূপার সাজ, ও হাতীর মত ঘোড়াহুটোর দিকে চাহিয়া বলিল,“না তোমার কথায় সন্দেহ নাই ; কখন আসিব ‘’ মৰ্কট বলিল, “কাল দুপুরে । ছড়ী আর দাড়াইল না । তারপর মৰ্কট গাড়ীতে উঠিয়া বসিবামাত্র কোচম্যান ঘোড়ার রাস টানিল, অমনি ঘোড়া দুটা ছুটয় চলিল ।” 발 ঘোটকের অনুকরণে ভিখাজিও ছুটিয়া চলিল। হীরাজি তাহাকে অনেক ডাকিল, কিন্তু সে ফিরিল না, বলিল “আর কিছু বলিবার নাই, এখন মোতাতের সময় হইয়াছে।”