পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ পূৰ্ব্বস্মৃতি কাসে টজি মেটার এই সুসজ্জিত কক্ষটি সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই আলোকিত হইয়াছিল ; টেবিলের উপর একটি মূল্যবান বেলোয়ারি বাতিদানে দুইটী বাতি স্নিগ্ধ আলোক বিকীর্ণ করিতেছিল। বেজানজির ইঙ্গিতে জেমসেটুজি সেই কক্ষে প্রবেশ করিবামাত্র মেটা সাহেব সবিস্ময়ে উঠিয়া বসিলেন ; আরাম কেদারার হাত হইতে সোনার চসম! তুলিয়া লইয়া তাহা চক্ষুতে আঁটিলেন, এবং চুরুটটি মুখ হইতে খুলিয়া লইয়া আগন্তুকের মুখের দিকে চাহিলেন । তাহার সহিত দৃষ্টি বিনিময় হইবামাত্র জেমসেটুজি নত মস্তকে তাহাকে সেলাম করিলেন। মেটা সাহেব সে সেলাম গ্রাহ না করিয়া গম্ভীর স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার কাছে তোমার কি দরকার ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “হুজুরকেই আমি সেলাম দিতে আসিয়াছি ; বিনা-এজেলায় আসিয়াছি, মেহেরবানি করিয়া কস্থর মাফ করিবেন।” রকম বড় ভাল নয় বুঝিয়া বেজানজি পূর্বেই সরিয়া পড়িয়াছিল। জেমসেটুজির কথা শুনিয়া মেটা সাহেব কোনও উত্তর দিলেন না ;