পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজুর-স্থনিয়ায় নবীন স্বরাজ ృeమె এই উনবিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার। কয়েক বৎসর পূর্ব পর্য্যন্ত এ বন্ডর পাত্তাই ছিল না দুনিয়ায়। না ছিল জাৰ্ম্মাণিতে, না ফ্রান্সে, না ইংল্যণ্ডে । মজুর এক অতি জটিল জীব । শব্দটাও পারিভাষিক “কটমট।” এখন এই ১৯২৬ সনে আমরা কি অবস্থায় আছি ? মজুর যে যুগে পারিভাষিক শব্দরূপে ব্যবহৃত হয়, সে যুগ ভারতে এখনও বড় বেশী দেখা দেয় নাই। আর সেই বস্তটাই এখনও ভারতে এমন কাচা অবস্থায় রহিয়াছে যে, সে সম্বন্ধে বুঝিবার বা কল্পনা চালাইবার অধিকারও ভারতীয় নরনারীর জন্মে নাই । মজুর জিনিষটা কি ? আমাদের দেশের শ্রমজীবীরা আগেও যেমনটি ছিল, এখনও প্রায় সেইরূপই আছে। টাকা পয়সা রোজগারের দিকে তাহারা বড় একটা যত্নবান নহে। আলসে কুঁড়ের মত দিন কাটাইরে, শেষে অভাবে পড়িলে ভিক্ষা করিবে। তবু নিজে খাটিয়া নিজের আর্থিক উন্নতি করার দিকে তাহাদের মেজাজ যায় না। “মজুর” বা “বর্তমান যুগের শ্রমজীবী” হইতেছে সেই ব্যক্তি যে নিজের উন্নতি করিবার জন্য, যখন যাহা করা দরকার তাহারই জন্ত—তাহার নিজের ক্ষমতা, তাহার নিজের মাংসপেশী চোস্ত দোরস্ত করিতে সদা সচেষ্ট । *মজুর” সেই লোক যাহাকে দেখিয়া মনিবের হাত-পা পেটের ভিতর সেদিয়া যায় । হাটু গাড়িয়া মনিবের গুণকীৰ্ত্তন যে করে সে মজুর নয়। সেই হইল বিংশ শতাব্দীর মজুর, যাহাকে দেখিয়া মনিব বা কারখানাদার হিমসিম খাইয়া যায় । , এই গোটা ভারতবর্ষ—যাহার লোকসংখ্যা ৩০ কোটি, সেগানে এই ১৯২৬ সনে বোধ হয় মাত্র ৮-১০-১৫ লাখ শ্রমজীবী আছে যাহারা এই বিংশ শতাব্দীর মজুরের কাছাকাছি না হউক দূর হইতে তাহাদের ধরণধারণ যৎকিঞ্চিৎ সমঝিতে সমর্থ। গোটা ভারতে হাজার ছয়েক শিল্প