পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কারখানা আছে। এই ছয় হাজার শিল্প-কারখানার কিন্মং, যন্ত্রপাতি ও কৰ্ম্মক্ষমতা, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ও আমেরিকান কারখানাগুলির সঙ্গে তুলনা করিবার দরকার নাই। আমাদের এই কয়েক লাখ “আধা-মজুর”, “সিকিমজুর”কে ঐ শ্রেণীর শ্রমজীবীদের মাপকাঠিতে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত হইবে না। মজুর-ভারতের লোকবল কোনো কোনো বৎসর গড়ে প্রায় ১৫০,০০০ ভারতীয় শ্রমিক, স্ত্রী ও পুরুষ, ধৰ্ম্মঘট করিতে শিথিয়াছে। ধৰ্ম্মঘটের উদ্দেশু ইয়োরামেরিকার শ্রমিকদের উদেহু হইতে এক চুলও এদিক-ওদিক নয়। অর্থাৎ সকলেরই আকাক্ষ—“কম ঘণ্টা থাটিয়া বেশী পারিশ্রমিক লক্টব, ভাল বাসস্থান পাইব, এবং কৰ্ম্ম-শাসন বিষয়ক অনেক স্ববিধ ভোগ করিব ; তবু বলিতে বাধ্য, ভারতের শ্রমিক আন্দোলন এখনও শৈশব অবস্থা কাটাহয়া উঠিতে পারে নাই। এখনও তাহার আত্ম-চৈতন্য সম্পূর্ণ ভাবে জাগে নাই । কেন একথা বলিতেছি তাহ পরবর্তী বিবরণ হইতেই বুঝা যাইবে । বাংলার বহু কয়লার খনি ও পাটের কল, আসাম ও বাংলার অনেকগুলি চা-বাগান এবং উত্তর-পশ্চিম ও মাদ্রাজ প্রদেশের অনেকগুলি পশমকলের মালিকগণ বিদেশী। শুধু ইহাদের বিরুদ্ধেই ভারতের শ্রমিকআন্দোলন সুরু হইয়াছে একথা বলিলে মিথ্যা বলা হয় । বোম্বাইয়ের কাপড়ের কলগুলির মালিক ত আর বিদেশী নয় ; তাহারা ত দেশেরই লোক । তাহাদিগের বিরুদ্ধেও এ আন্দোলন বন্ধ থাকে নাই । বলা বাহুল্য, শ্রমিক ও ধনিকের মধ্যে এই মন-কষাকষি প্রায়ই কোনরূপ জাতিবিদ্বেষ-প্রস্থত নয় । স্বদেশানুরাগ, জাতীয়তা বা রাজনীতির গন্ধও