বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

বড় বাড়ী যেন রাজ প্রাসাদ। বিদ্যালয়ের এই ত্রিতল ইষ্টক নির্ম্মিত গৃহ আমার হৃদয়ে একটা নব জগতের বার্ত্তা আনিয়া দিল। ধনি-সমাজ, আপনারা যদি একবার বুঝিতে পারিতেন যে, নূতন শিক্ষার্থীর চিত্তে বিদ্যালয়-গৃহের দৃশ্য কি অপরূপ ভাবলহরী সৃষ্টি করে, তাহা হইলে আপনারা বোধ হয় আপনাদের সর্ব্বস্ব উৎসর্গ করিয়া দেশের বিদ্যামন্দিরগুলিকে নানা উপায়ে সুন্দর সুশ্রী ও অলঙ্কৃত করিতে প্রবৃত্ত হইতেন। আপনারা শিশুহৃদয়ের কোমল চিন্তাগুলি কখনও কল্পনা করিয়া দেখিয়াছেন কি? নবশিক্ষার্থীর অন্তরের কথা বুঝিতে চেষ্টা করিয়াছেন কি? আমি হ্যাম্পটনের বিদ্যালয় গৃহটি দেখিয়া নূতন জীবন লাভ করিলাম—সবই যেন নূতন বোধ হইতে লাগিল—আমার চোখ একটা নূতন দৃষ্টি-শক্তি পাইল। জগতের সকল পদার্থই এক নবভাবে আমার নিকট দেখা দিল—আমি সত্যসত্যই সেই চিরবাঞ্ছিত স্বর্গ-রাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছি।

 আমি বাহিরে কাল বিলম্ব না করিয়া বিদ্যালয়ের কর্ত্তৃপক্ষের নিকট হাজির হইলাম। প্রধান শিক্ষয়িত্রী আমার বেশভূষা ইত্যাদি দেখিয়া তাঁহাদের যোগ্য ছাত্র বিবেচনা করিলেন বলিয়া রোধ হইল না। বোধ হয় বুঝিয়াছিলেন—এ একটা সঙ্, ছেলে খেলা করিতে আসিয়াছে। অবশ্য একবারে তাড়াইয়াও দিলেন না। আমি তাঁহার আশে পাশে ঘুরিতে লাগিলাম। নানাভাবে আমার যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা এবং শিখিবার আকাঙ্ক্ষার পরিচয় দিতে চেষ্টা করিলাম। ইতিমধ্যে কত নূতন নূতন ছাত্র আসিয়া