বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

নিঃস্বার্থ চিত্তে এরূপ চিন্তা স্থান পায় নাই। সর্ব্বত্রই তিনি স্বার্থত্যাগের কর্ম্মক্ষেত্র খুঁজিয়া লইতেন।

 সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গ নিউ ইংলণ্ড অঞ্চলের অধিবাসী ‘ইয়াঙ্কি’। বিগত সংগ্রামে তিনি এই প্রান্তের পক্ষে দক্ষিণ প্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করিয়াছিলেন। সুতরাং অনেকেই মনে করিতে পারেন যে, তিনি হয়ত দক্ষিণ প্রান্তের শ্বেতকায়গণের সম্বন্ধে শত্রুভাব পোষণ করিতেন। আমি বলিতে পারি, তাহা সত্য নয়। তিনি সংগ্রামের পর একদিনও কোন দক্ষিণপ্রান্তবাসী শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি সম্বন্ধে নিন্দা বা তিরস্কারসূচক বাক্য ব্যবহার করেন নাই। বরং যথা সাধ্য তিনি তাহাদের উপকারের জন্য চেষ্টাই করিয়াছেন।

 হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা তাঁহাকে দেবতার মত ভক্তি করিত। আর্মষ্ট্রঙ্গের আরব্ধ কোন কর্ম্ম কৃতকার্য্য হইবে না—এরূপ আমরা ভাবিতেই পারিতাম না। তাঁহার যে কোন আদেশই আমরা পলকের মধ্যে সম্পন্ন করিতে প্রয়াসী হইতাম। তাঁহার আদেশ অনুসারে কাজ করিতে পাইলে আমরা কৃতার্থ বোধ করিতাম। একটা ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। মৃত্যুর কিছুকাল পূর্ব্বে তিনি আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ে অতিথি হইয়া ছিলেন। তখন পক্ষাঘাতে ভুগিতেছিলেন—নাড়িবার ক্ষমতা ছিল না। তাঁহার চেয়ার গড়ান রাস্তা দিয়া একটা পাহাড়ের উপর তোলা হইতেছিল। তাঁহার একটি ভূতপূর্ব্ব ছাত্র তাঁহার চেয়ার টানিয়া তুলিতেছিল। রাস্তা ভাল ছিল না বলিয়া সহজে ঐ কার্য্য সাধিত হয় নাই। অবশেষে যখন পাহাড়ের উপরে