বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যার্জ্জনে কঠিন প্ৰয়াস
৬১

উঠা গেল, ছাত্রটি বলিয়া উঠিলেন—“যাহা হউক, আজ আমার সৌভাগ্য, সেনাপতির জন্য মৃত্যুর পূর্ব্বে একটা কঠিন রকমের কাজ করিবার সুযোগ পাইয়াছি।”

 যখন আমি হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ে ছিলাম তখন প্রাই নূতন নূতন ছাত্র ভর্ত্তি হইত। আমাদের বড় স্থানাভাব ছিল। ছাত্রাবাসে আর ছাত্র লওয়া চলিত না। বাহিরে তাঁবু খাটাইয়া ঘর তৈয়ারি করিয়া লইতে হইত। সেই সময়ে আর্মষ্ট্রঙ্গ মহোদয় পুরাতন ছাত্রদের নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিতেন, “তোমাদের মধ্যে কেহ রাত্রে তাঁবুতে শুইয়া ঘরের ভিতর নূতন ছাত্রদের জন্য জায়গা করিতে প্রস্তুত আছ কি?” অমনি প্রত্যেক ছাত্রই ঘর ছাড়িয়া দিয়া তাঁবুতে কষ্টে রাত্রি কাটাইবার জন্য অগ্রসর হইত।

 আমিও এইরূপ একজন স্বার্থত্যাগী ‘পুরাতন ছাত্র’ ছিলাম। আমার মনে আছে—অত্যন্ত কঠোর শীতকালে আমাদের কয়েক বার তাঁবুতে রাত্রি কাটাইতে হইয়াছিল। আমাদের যৎপরোনাস্তি কষ্টও হইয়াছিল। সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গের আদেশ, সুতরাং আমরা তাহা প্রাণপণে পালন করিবই। আমাদের কষ্টের কথা তাঁহাকে জানাইব কেন? আমরা একসঙ্গে দুইকাজ করিতেছিলাম—কারণ ইহাদ্বারা আর্মষ্ট্রঙ্গকে খুসী করিতাম, এবং নূতন নূতন ছাত্রের শিক্ষালাভের সুযোগ বাড়াইতে পারিতাম। এক এক রাত্রে মহা ঝড় বহিত—তাঁবু উড়িয়া যাইত—আমরা সেই কন্‌কনে শীতের মধ্যে খোলা মাঠে পড়িয়া থাকিতাম। সেনাপতি