বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৭১

এবং তাহাদের গতিবিধি অভ্যাস স্বভাব, খাদ্যাখাদ্য, রোগ ঔষধ ইত্যাদি দেখিবার সুযোগ পাইলে প্রত্যেক লোকই ভবিষ্যতে পাকা ওস্তাদ হইয়া উঠিতে পারে।

 দ্বিতীয় বৎসরের সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান শিক্ষা হইয়াছিল—বাইবেল গ্রন্থের উপকারিতা। কেবল ধর্ম্মগ্রন্থ হিসাবেই নহে, উৎকৃষ্ট সাহিত্য হিসাবেও বাইবেল বিশেষরূপেই পাঠ করা উচিত—এই ধারণা জন্মিয়াছিল। ফলতঃ, আজকাল কাজের খুব ভিড় থাকিলেও আমি দুই এক অধ্যায় বাইবেল না পড়িয়া দিন যাইতে দিই না।

 বাইবেলের উপকারিতা আমি কুমারী লর্ডের শিক্ষকতায় বুঝিতে পারিয়াছিলাম। তাঁহার নিকট আমি আর এক কারণেও ঋণী। আজ কাল আমি বক্তৃতা করিতে মন্দ পারি না—এমন কি, সাহিত্যজগতে আমি বাগ্মী বলিয়াই খ্যাত। এই বক্তৃতা করিবার ক্ষমতা আমাকে কুমারী লর্ডই শিখাইয়াছিলেন। শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ম, উচ্চারণ করিবার রীতি, জোর দিবার ভঙ্গী, দম লইবার কায়দা, ইত্যাদি বক্তৃতা করিবার আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি আমি তাঁহার নিকট শিখিয়াছিলাম। এইগুলি শিখিবার জন্য আমি ইহাঁর নিকট বিদ্যালয়ের অবকাশকালে একাকী উপদেশ লইতাম।

 আমি অবশ্য বক্তৃতা ও বাচালতার একেবারেই পক্ষপাতী নহি। কেবল ওজস্বিতা বা বাক্যযুদ্ধ ও কথার মারপ্যাচ দেখাইবার জন্য আমি বক্তৃতা অভ্যাস করি নাই—এবং কখনও বক্তৃতা দিই নাই। ছেলেবেলা হইতে আমি পরোপকার কর্ম্মে ব্রতী