বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

হইব স্থির করিয়াছিলাম। জগতের বিদ্যাভাণ্ডার ও কর্ম্ম-কেন্দ্রগুলিকে পুষ্ট করিবার জন্য আমার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়াছিল। আমি ভাবিতাম, যদি কোন উপায়ে সংসারের উপকার করিতে পারি তাহা হইলে সে সম্বন্ধে লোকজনকে বুঝানও আবশ্যক হইবে। আমি বুঝিয়াছিলাম,—একটা কোন অনুষ্ঠান আরম্ভ করিয়া তাহা সফল করিতে পারিলে লোকসমাজে তাহার প্রচারের জন্যও ব্যবস্থা করিতে হইবে। এই বুঝিয়া সদনুষ্ঠানের প্রচার, সৎকর্ম্মের বিস্তার এবং সদ্ভাবের প্রসার ইত্যাদি উদ্দেশ্যেই আমি বাগ্মিতার শিক্ষা লইতেছিলাম—ফাঁকা আওয়াজ করিয়া বাহবা লইবার জন্য নহে। আমার মতে “কার্য্য আগে করিব—তাহার পরে তাহা জগৎকে জানাইব”—এই আদর্শেই বাগ্মিগণের জীবন গঠন করা কর্ত্তব্য।

 হ্যাম্পটন-বিদ্যালয়ে অনেকগুলি ডিবেটিং ক্লাব বা আলোচনাসমিতি ছিল। প্রতি শনিবার সন্ধ্যাকালে তাহাদের অধিবেশন হইত। এই অধিবেশনগুলির একটাও কখন বাদ দিয়াছি বলিয়া মনে পড়ে না। এদিকে এত ঝোঁক ছিল যে আমি এইগুলির অতিরিক্ত একটা নূতন সমিতিও প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম। আমাদের খাওয়া শেষ হইবার পর পড়া আরম্ভ করিবার পূর্ব্বে প্রায় ২০ মিনিট ফাঁক থাকিত। এই সময়টা ছেলেরা সাধারণতঃ গল্প গুজবে কাটাইত। আমার উদ্যোগে ২০।২৫ জন ছাত্র মিলিয়া এই সময়টায় আলোচনা বক্তৃতা ইত্যাদি করিবার জন্য একটা নূতন ব্যবস্থা করিয়া লইয়াছিল।