পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি ঞ্জ ন গৃহ কে। ণে কি-ই বা বলবে মলিন, তবু কিছুক্ষণ পরে ভয়ে ভয়ে বললে, ডাক্তারবাবু বলছিলেন একজন নাস রাখা দরকার, আজই পাঠিয়ে দেবেন | একটু চুপ করে থেকে শৈলপতি বললে, বেশ ত । তারপর অনাবশ্বক হাসি হেসে বললে, আমি ঠিক এই কথাই ভাবছিলুম, ভয় ছিল পাছে তুমি অজ্ঞাতকুলশীলার সঙ্গ অপছন্দ কর তাই কিছু বলি নি । পাচটার পর নাম এলো, সুত্র, পরিচ্ছন্ন এবং তরুণী । তার নাম জগৎমোহিনী নয় জয়ন্তী। রীতিমত আধুনিক এবং শিক্ষিতা নাস । নাসের আগমনে মলিন অনেকটা সুস্থ বোধ করতে লাগল, রোগের বোঝা এইবার অপরের ঘাড়ে নামিয়ে সে একটু বিশ্রাম করতে পারবে । শৈলপতির সেবা যত্নের পেছনে মলিনার কুণ্ঠমিশ্রিত তৃপ্তি বৰ্ত্তমান । এবার সে উপভোগ করবে অকুষ্ঠিত তৃপ্তি। মলিনার চারপাশে নিয়তই দুশ্চিন্তার জাল প্রসারিত, এই নির্জন গৃহকোণের নিঃসঙ্গ পরিবেশ মলিনার কাছে রোগশয্যার চেয়েও ক্লাস্তিকর, ব্যথার চেয়েও দুৰ্ব্বিসহ হয়ে উঠেছে। একদিন দুপুরে সদর-দরজায় কড়া নেড়ে উঠেছিল, সেই সময় ব্যথাটা বেড়েছে, যন্ত্রণায় মলিনা ছটফট করছে, অনেকক্ষণ ধরে কড়া নাড়ার আওয়াজ শোনা গেল, মলিনার ইচ্ছা হোল একবার উঠে দেখে, কিন্তু তার নড়বার শক্তি নেই, চীংকার করবার সামর্থ্য নেই। মলিনার q