পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে মনে হোল, তার বেদনা উপশম করবার জন্তে দোর ভেঙে পাশের বাড়ির লোকেরা ছুটে আসছে। সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্বে এমন সব সম্ভব অসম্ভব কথা মনে পড়তে লাগল যার কোনো মানে নেই, একবার মনে হোল হয়ত শৈলপতি আহত হয়েছে মোটর-দুর্ঘটনায়, ষ্ট্রেচারে করে নিয়ে এসেছে বুঝি তার আহত দেহ । বিপদ ঘটতে কতক্ষণ, এমন তো কত হয় ! তারপর, অবশেষে কড়া নাড়ার আওয়াজ থামলো, ধৈর্য্যেরও সীমা আছে । অজ্ঞাত রহস্তে ডুবে রইল মলিনা, কে যে কড়া নাড়লে, তা আর কোন দিন জানা গেল না । নাসের আগমনে মলিনা তাই সুস্থ বোধ করেছে, বুকের ব্যথাটা একটু কম পড়েছে যেন, বারে কমেছে। মলিনার আর ভয় করে না । জয়ন্তী বই পড়ে, খবরের কাগজ পড়ে শোনায়, গল্প বলে, মাঝে মাঝে আবার মৃদুকণ্ঠে গান গায় । মলিনাকে ভুলিয়ে রাখে জয়ন্তী—নাসও সর্থীর সমন্বয়। মলিনার নিৰ্জ্জনতার কষ্ট, নিঃসঙ্গের দুঃখের অবসান হয়েছে। স্বৰ্য্যদেবের গতিপ্রকৃতি, নদীর উচ্ছল স্রোতের হিসাব-নিকাশ আর সে তেমন রাখে না । মানুষ ও সমাজের কথা শুনতে মলিনার আবার ভাল লাগে । মলিনা আবার নতুনভাবে জীবন সুরু করেছে, ভুলে যেতে চায় এই কয়মাসের গ্রানিকর জীবনের ইতিহাস ! নাসকে মলিন জয়ন্তী বলেই ডাকে, শৈলপতি কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে মিস্ সেনের নীচে নামতে পারেনি, তার এই অর্থহীন ভদ্রত মলিনার ভাল লাগে না । মলিন চায় জয়ন্তীকে আত্মীয়ের মতো করে টেনে নিতে, তার করুণায় সে পুনৰ্জ্জীবন লাভ করেছে। জয়ন্তীর সংস্পর্শে এসে আজ মলিনার বঁাচতে ইচ্ছা করে, তাড়াতাড়ি সেরে br