পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে ওঠবার তার অসীম আগ্রহ । জীবনের যা কিছু রমণীয়, বিছানায় শুয়ে আঙুলের ফাকে তা আর গলে যেতে দেবে না মলিন ৷ শৈলপতির সৰ্ব্বব্যাপিত্ব ও প্রাধান্ত যেন ইদানীং কমে এসেছে, সে আর এখন মলিনার রুগ্ন জীবনের অনিবাৰ্য্য প্রয়োজন নয়, কিন্তু জয়ন্তীর প্রয়োজনীয়তা এখন অপরিহার্য্য । মলিনা দেখাতে চায় সে যেন সেরে উঠেছে, কিন্তু সেই মুহূৰ্ত্তেই ফিরে আসে ব্যথার প্রকোপ । এবারকার আক্রমণ আরো গভীর— আরো ব্যাপক, ফলে মফিয়া দুদিন মলিনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলে, এর পর মলিন আরো ক্ষীণ হয়ে পড়লো । সেরে উঠবার বাসনা ভেঙে গেল, জয়ন্তীকেও আর সব সময় ভাল লাগে না, সেই সময় মলিনার মনে হয়, আর এ জীবনে কি প্রয়োজন, বেঁচে থাকার কোনো মানে নাই । ক্রমশ: এ ভাবও কৰ্ণ টলো, আবার জয়স্তীর কাছে মলিনা শোনে হাসপাতালের গল্প, ডাক্তারের কাহিনী, মেটনের মেজাজ, আরো কত কি—মলিলা অবাক হয়ে যায় । ডাক্তার অপর নাস মলিনার কাছে এদের আসন অনেক উঁচুতে, কিন্তু জয়ন্তীর গল্পে অনেক রহস্তের যবনিকা উঠলো । শৈলপতির মনে আর তেমন আনন্দ নেই, জয়ন্তী ঘরে থাকলে সে মলিনার কাছে আসতে কুষ্ঠিত হয়, মলিন মনে মনে ভাবে—ঈর্ষা, শৈলপতি এলে তাই জয়ন্তীকে ইসারণ করে বাইরে পাঠিয়ে দেয় । তারপর শৈলপতি মলিনার লিকলিকে সরু হাতখান তুলে নিয়ে আদর করে, দুটো মিষ্টি কথা বলে—আশার কথা, সাস্বনার কথা । মলিন শীগগির সেরে উঠবে ।