পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জর্জ ন গৃহ কোণে কিন্তু এও বাধা ফৰ্ম্মল, মলিন যে সেরে উঠবে সে বিশ্বাস তার নেই । আজকাল শৈলপতির জীবনে উচ্ছ,স্বলতার আভাস পাওয়া যায় । গলার আওয়াজ ভারী, প্রকৃতি গম্ভীর হয়ে ওঠে । একবার ফিরে আসে—আবার কোথায় বেরিয়ে যায়, কপালের কুঞ্চিত রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে । মলিনা সবই বোঝে । বাক্যের অসংযম, ব্যবহারে দীপ্তির অভাব-সবই তার চোখে ধরা পড়ে। তবু সে নিলিপ্ত ভঙ্গীতে চুপ করে থাকে । মলিনার বিরক্তি বেড়ে যায়, জয়ন্তীকে কি শৈলপতি মলিনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে চায় । শৈলপতির স্বার্থপরতায় মলিনা যতই উত্তেজিত হয়—ততই তার জয়ন্তীর ওপর নির্ভরতা বেড়ে চলে | আধো-ঘুম আধো-জাগরণে মলিনার মনে হয়, জয়ন্তী যেন স্বর্গের দেবী, মলিনাকে সুস্থ করবে বলে নেমে আসছে স্বর্গ থেকে, মাথার চার পাশে বিকিরিত স্বগীয় জ্যোতিৰ্ব্বদ্যা, হাতে অমৃতভাণ্ড, কৃতাঞ্জলিবদ্ধ মলিন সবিনয়ে অমৃত প্রার্থনা করছে, কিন্তু অদৃশু লুতাতন্তুর বাধা অতিক্রম করে কিছুতেই আর জয়ন্তী কাছে পৌছতে পারছে না, শৈলপতিই সেই অদৃশু স্থত্রের এক প্রান্ত ধরে আছে, বিত্র চীৎকার করে গাত্রবস্ত্রের ঘনতর সংস্পর্শের কৃত্রিম অন্ধকারে মুখ ঢাকলে মলিন ৷ জয়ন্ত তাড়াতাড়ি ছুটে এলো, কিন্তু সেই যে মলিনার ঘুম ভাঙলো, কিছুতেই আর ঘুম আসে না, অবশেষে জয়ন্তীকে ঘুমের ওষুধ দিতে হ’ল ।| > е