পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জর্জ ন গৃহ কোণে পায়ের শব্দ মিলিয়ে গেল, একটু ছেসে জয়ন্তী দরজা খুলে দিলে । লোকটি ইতিমধ্যে চলে গেছে। বিছানা থেকে উঠতে গেল মলিনা, কিন্তু ঠিক সেই সময়েই বুকের ব্যথাটা আবার বেড়ে উঠলো, সেই যন্ত্রণার মধ্যেই মলিনা সদর দরজা বন্ধ করার আওয়াজ শুনতে পেলে । জয়ন্তী মলিনার কাছে দৌড়ে এলো; মুখের হাসি তখন মিলিয়ে গেছে। বুকে হাত বুলোতে বুলোতে বল্লে, এখুনি কমে যাবে, সেরে যাবে, ভয় নেই দিদি, আপনি একটু চুপ করে শুয়ে থাকুন। মলিনা জানে, এ ব্যথা আর সারবে না, বেলা শেষ হ’ল, এবার ভাঙার পালা। যন্ত্রণায় টুকরো টুকরো হয়ে পড়ছে মলিনা, অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে জয়ন্তীর মুখের দিকে, এ ব্যথার অংশ নিক জয়ন্তী, তবু মনে মনে সে আর তাকে বিশ্বাস করে না। জয়ন্তী যেন আর সে জয়ন্তী নয়। সতর্ক হয়েছে বটে জয়ন্তী, তবু তার সারা অঙ্গে পুরুষ ংস্পর্শের মদির উত্তেজনা বৰ্ত্তমান—নারীর চোখে নারীদেহের এই বিচিত্র রহস্ত নগ্ন ও স্পষ্ট হয়ে উদঘাটিত হোল । তীব্র ও তীক্ষ ব্যথায় মলিন মূচ্ছিত হয়ে পড়ল। কিন্তু মলিনার ব্যথা কমলে দেখা গেল, জয়ন্তী ফুলে ফুলে কাদছে। জয়ন্তী বল্লে, অনেকের সেবা করেছি, কৰ্ত্তব্য বলেই করেছি, কিন্তু আপনার কষ্ট আর দেখতে পারি না, আপনি সেরে উঠুন দিদি । খাটের পাশে বসে মাথাটা বিছানায় এলিয়ে দিয়েছে জয়ন্তী গভীর তম বেদনায়, বিশীর্ণ আঙল দিয়ে মলিন সস্নেহে তার মাথার অবিন্যস্ত > &