পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে চুলগুলি ঠিক করে দেয়। এ সংসারকে ভালবাসবার ক্ষমতা আজো মলিনার বর্তমান, এই আনন্দেই সে আত্মহারা হয়ে রইল। । বিছানার চাদরে মুখ ঢেকে জয়ন্তী পড়েছিল, মলিনার আঙলের শান্ত স্পশে জয়ন্তীর মনোভার নেমে গেল । যেন জননীর অভয়ম্পর্শে নিভৃত নাড়ে সস্তান আশ্রয় নিয়েছে । মলিন বলে, তোমার কাছে যা পেয়েছি তা আমি ভুলতে বসেছিলুম। এর পর মলিনাও কেদে ভেঙে পড়ে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে জীবনের গতি-প্রাবল্যের ঝড়, রঙ ও লাস্ত্য সব সে হারিয়েছে, দেয়ালে মাথা খুড়ে মরছে শরতের সোনালি রোদ, জানালার সাসাঁতে আছাড় খায় নদীর ঢেউ, বর্ষার বৃষ্টিধারা। অার এই নির্জন গৃহকোণে রোগ শয্যায় শুয়ে আছে রোগজীর্ণ মূৰ্ত্তিমতী অশাস্তি, মৃত্যুর নিঃশব্দ পদধ্বনি শোনবার আকুল আশায় পড়ে রয়েছে মলিনা / যথারীতি পরদিন সকালে শশিশেখরবাবু এলেন, সেদিন মলিনাকে দেখে খুসি হলেন । এতদিনে তবু একটু আশা হ’ল । ডাক্তারবাবু চলে যাবার পর মলিন ঘুমিয়ে পড়লো—গভীর ঘুম । দুতিন ঘণ্ট পরে ঘুম যখন ভাঙলো, তখন দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকালে পৌছেছে । শান্ত হয়ে শুয়ে রইল মলিনা, নদীর গতিবিভঙ্গ লক্ষ্য করতে লাগল । উপরে অশান্ত ঢেউয়ের উচ্ছ্বাস, অথচ অন্তরে নিবিড় প্রশাস্তি । জয়ন্তী বলে- সেরে উঠুন দিদি, সেরে উঠতে কার না সাধ মাটির ভিতর থেকে উদ্ভিদের উদ্ভব, তারপর একদা সেই নীলবৃন্তের কুঁড়িতে ফুল >\o