পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে দাসী-চাকরের অভাব নেই, তবু ভবতারণ আর বেরাল উভয়েরই পরি চৰ্য্যার ভার স্বরবালার হাতে, এতটুকু ক্রট হ’বার উপায় নেই, তাহলেই ভবতারণ চীৎকার করে উঠবে—পুলিনকে বলে দেব ! আর এই কথাতেই স্বরবালা সচকিত হয়ে উঠতো । পুলিন স্বরবালার স্বামী, মাঝে মাঝে এ ঘরেই বসতো, কিন্তু সে নিদ্রিত কি জাগ্রত সে-সম্বন্ধে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থাকতো, তাই, এরা ভাইবোনে কিংবা বেড়াল কেউ তার দৃষ্টি-আকর্ষণের চেষ্টা করেনি । পুলিন যেন—‘দু:খেষু অম্বুদ্বিগ্নমনা: স্বখেষু বিগতস্পৃহ:, বীতরাগ ভয় ক্ৰোধ: । পুলিন কানে একটু খাটো, ছোট কথা বড় কানে পৌছয় না, কাজেই কিসের যে আন্দোলন চলেছে সব সময় সে ঠিক বুঝতে পারে না—তার কানে ফোনের মতো একটা যন্ত্রের ব্যবস্থা ছিল, কানে খানিকটা গোজা থাকে—দু'একটা নল বুকে এসে নেমেছে, সেখানে একটা রিসিভারের মত ছোট যন্ত্র, বেশী গোলমাল হোলে পুলিন কান থেকে সে’ট খুলে নিয়ে যন্ত্রটা নামিয়ে রেখে চোখ বুজে হয় ঘুমোত, নয় স্কুমোবার ভাণ করতো । বেলুড়ে গঙ্গার ধারে পুলিনদের মস্ত বাড়ি, এই বাড়িতেই পুলিন ভূমিষ্ঠ হয়েছে, মানুষ হয়েছে, এখন শেষ জীবনে পৌছেচে, এই পৈতৃক বাড়ীর সঙ্গে সে উপযুক্ত পরিমাণে অর্থ পেয়েছিল । এই সম্পত্তির উপর পুলিন নিজে বিশেষ কিছু যোগ করে নি কিংবা নষ্টও করেনি এক বিন্দু। পুলিন সাদাসিধে ঠাণ্ডা মানুষ, ছেলেবেলা থেকেই গোড়া রক্ষণশীল & о