পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জর্জ ন গু হ কো ৭ে পুলিনের রাগ আছে, গঙ্গার ধারে ইদানীং একটু পায়ে-চলা পথ হয়েছে, তা নিয়ে পুলিনের আর উত্তেজনার সীমা নেই ! চাকরদের হুকুম দিয়েছে, ওদিক দিয়ে কেউ গেলেই তাকে সোজা আমার কাছে ধরে নিয়ে আসবি। মাঝে মাঝে পূৰ্ব্বদিকের জানালার দিকে গভীর ভাবে চেয়ে থাকে পুলিন । সুরবালা বলে—ঐ এক খেয়াল, গেলেই বা বাপু ওদিক দিয়ে লোক, সোজা হয় তাই যায়। ভবতারণ বলেন—হু ! সোজা হয়, এর ভেতর অনেক মানে আছে সুরো সে কথা ত’ তোমার বোঝা উচিত । সুরবালা আস্তে আস্তে কি উত্তর দেয় শোনা যায় না । দুপূরে ঘুম ভেঙ্গে উঠেই পুলিনের প্রথম জিজ্ঞাসা,—ওদিক দিয়ে আর কোনও লোক টোক গিছল নাকি সুরবালা ? কতকটা সচকিত হ’য়েই স্বরবালা বলে—কিসের লোক ? পুলিন একটু হেসে বলে—না আমিই বলছি—কোনো লোক যাচ্ছিল কি না ! তারপর চেয়ারে সোজা হয়ে বসে পুলিন উৎকণ্ঠ আগ্রহে গঙ্গার দিকে চেয়ে থাকে। যদি কেউ এসে পড়ে পুলিন তাকে কঠিন শাস্তি দেবে । ভবতারণ বলেন—পুলিন যেন দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছে, আমার দিকে এমন ভাবে চেয়ে থাকে যেন ভূত দেখেছে। যারা ভূত দেখতে পায় স্বরে, তারা তোমার মনের কথাও জানতে পারে । মনের অগোচর পাপ নেই মুরবালা, একটু সাবধানে থেকে । হতাশার স্বরে স্বরবালা বলে—তোমার জন্য কি আমি আর কিছু ভাবতে পারবো ন দাদা | २8